মন খারাপ করা বিকেলের টোটকা ফুটবল।
বিকেলে মাঠের ধারে চুপচাপ বসে থাকা ছেলেগুলো এখন বিষন্নতা ভুলে ফুটবলে মেতেছে। নিছক সময় কাটানো নয়, দাঁতে দাঁত চেপে পায়ে বল নিয়ে ছুটতে ছুটতে ওরা যেন বেঁচে থাকার একটা অন্যতর স্বাদ খুঁজে পাচ্ছে।
ওরা করিমপুরের ‘আশা’ শিশু আশ্রমের জনা দশেক আবাসিক। বয়স বারো থেকে পনেরো। অনাথ কিংবা স্বজনহারা সেই সব কিশোর-বালকদের পড়াশোনা শেষে বিকেলে মনখারাপ যেন জাঁকিয়ে বসত। করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের পাশে বসে তাদেরই এক জন জানায়, “বিকেলে অন্যরা মাঠে খেলত। আমরা হাঁ করে দেখতাম। খুব কান্না পেত!” সেই সময়টা হারানো স্বজনের কথা বড় বেশি মনে পড়ত ওদের।
সেই দুঃখ মুছতেই করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সদস্য তথা স্থানীয় জামতলা নবারুণ সংঘের সম্পাদক সুজিত বিশ্বাস অনাথ আশ্রমের ছেলেদের নিয়ে গড়ে দিয়েছেন একটা ফুটবল দল। আশ্রমের হয়েই তারা এ বার খেলতে চলেছে স্থানীয় নার্সারি লিগ। |
সুজিতবাবুবাবু বলেন, “বিকেলে প্রায়ই দেখতাম ছেলেগুলো মাঠের ধারে বসে থাকে। ওদের সঙ্গে কথা বলেই বুঝেছিলাম একটু খেলাধুলো করতে পারলে ওদের মনটা হাল্কা হবে। তাই ওদের নিয়েই একটা দল গড়ে দিয়েছি।”
মনখারাপের দাওয়াই পেয়ে খুশি আশ্রমের মানব, নিতাই, বিপ্লব, দীপকরা। বিপ্লব বলে,‘‘বিকেলে আমরা রেগুলেটেড মার্কেটের মাঠে বসে খেলা দেখতাম। এক দিন সুজিতদা এগিয়ে এসে আমাদের ফুটবল খেলার প্রস্তাব দেন। তারপর থেকে বিকেল হলেই আমরা ছুটে যাই মাঠে। এখন আর মনখারাপ করে না।” খেলার জার্সি, জুতো সবই কিনে দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
আশ্রমের সুপার অরুন সরকারও বলেন, “খেলাধুলোর সুযোগ পেয়ে ছেলেগুলোর চেহারাই বদলে গেছে। বিকেল হলেই ওদের মুখে হাসি ফোটে। মা-বাবা মরা ছেলেগুলোর মুখে হাসি দেখে আমাদেরও খুব ভাল লাগে।”
|
চাকদহ পুরসভার এক সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি তছনছ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চাকদহের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রশান্ত রায়ের বাড়িতে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোককে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রশান্তবাবু সমস্ত ঘটনা চাকদহ থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমল ভৌমিক বলেন, “পুরভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে আমাদের প্রার্থী বাড়িতে শাসকদলের লোকজন হামলা চালিয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চাকদহের বিধায়ক তৃণমূলের নরেশচন্দ্র চাকি বলেন, “আমাদের দলের কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। ওটা সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।” |