মাসখানেক আগে হরিপালের চন্দনপুর পঞ্চায়েতের হারাট গ্রামে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলিতে খুন হন এক ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে সোমবার রাতে ওই ব্যবসায়ীর মেয়েকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত নাসরিন মফিজকে মঙ্গলবার চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই তরুণীর সায় নিয়েই তাঁর বাবাকে খুনের ছক কষে প্রেমিক।” তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এলাকার এক যুবকের সঙ্গে নাসরিনের সম্পর্ক ছিল। নাসরিনের বাবা মফিজুদ্দিন মোল্লা ওই সম্পর্কে আপত্তি জানান। সেই কারণেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে নাসরিনের প্রেমিক। গত ২২ জুলাই রাতে একতলার ঘরে ঘুমিয়েছিলেন মফিজুদ্দিন। তখনই জানলা দিয়ে গুলি ছুড়ে তাঁকে খুন করা হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই তরুণীর সায় নিয়েই তাঁর বাবাকে খুনের ছক কষে প্রেমিক।” খুনের কারণ নিয়ে অবশ্য প্রাথমিক ভাবে ধন্ধে পড়েছিল পুলিশ। পুলিশকে জানানো হয়েছিল, ঘুম থেকে ডাকতে এসে নাসরিনই বাবাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে সকলকে ডাকেন। প্রথমে তাঁর উপরে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়নি। তবে তদন্ত শুরু করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে নিহতের মেয়ের সঙ্গে পার্ক স্ট্রিটের ওই যুবকের কথা জানতে পারে পুলিশ। তার পরে নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রহস্যভেদ হয়। এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “ওই তরুণী অপরাধের কথা কবুল করেছেন।” পুলিশ জানায়, মেয়েটির প্রেমিক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
|
চুরি করে একটি মিষ্টির দোকানে বিদ্যুত্ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় অভিযান চালাতে গিয়ে মঙ্গলবার গোঘাটের শ্যামবল্লভপুর গ্রামে বাসিন্দাদের হাতে ঘেরাও হলেন বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার গোঘাটর শাখার স্টেশন ম্যানেজার পিন্টুকুমার মুর্মু-সহ কয়েক জন কর্মী। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ ছিল না। দু’ঘণ্টা তাঁদের আটকে রেখে পিন্টুবাবুকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। পিন্টুবাবু বলেন, “লাইন কেটে দিয়ে আমরা কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করি। কিন্তু গ্রামবাসীরা আটকে রেখে, আমাকে নিগ্রহ করে কাটা লাইন জুড়ে দিতে বাধ্য করে। তার পরেই মুক্তি মেলে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।” বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দ্রশেখর সেনগুপ্ত বলেন, “ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি।” পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁর মিষ্টির দোকানের বিদ্যুতের লাইন কাটতে গিয়ে এই কাণ্ড, অশোক প্রধান নামে সেই মিষ্টি ব্যবসায়ীর বাড়ি দোকান লাগোয়া। বিদ্যুত্ চুরির অভিযোগ তিনি মানেননি। তাঁর দাবি, “আমি তখন বাড়ি ছিলাম না। বিদ্যুত্ দফতরের লোকেরা বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। প্রতি তিন মাস অন্তর প্রায় তিন হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল মেটাই। মিথ্যা অভিযোগে আমার লাইন কেটে নানা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছিল দেখে গ্রামবাসীরাই প্রতিবাদ করেন।”
|
ধারাল অস্ত্রের কোপে ভাইকে খুন করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার কুমিড়মোড়া বাজারের কাছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সাদ্দাম হোসেন খান (২২)। তাঁর দাদা সইফুদ্দিন খান পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সইফুদ্দিন মাংস বিক্রেতা। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে। সেই সময় সাদ্দামের সঙ্গে তার বচসা হয়। অভিযোগ, ঝগড়ার মধ্যেই ভাইয়ের গলায় চপারের কোপ বসিয়ে দেয় সইফুদ্দিন। রক্তাক্ত অবস্থায় সাদ্দাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বেগতিক বুঝে সইফুদ্দিন গা-ঢাকা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাদ্দামকে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে সাদ্দাম জানিয়েছেন, দাদাই তাঁর গলায় চপারের কোপ বসিয়ে দেয়। দাদা কুতুবুদ্দিন খান সইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পারিবাবির বিবাদের কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
জাল ফেলে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হল খানাকুলের পোল গ্রাম থেকে। সোমবার বিকেলের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম শেখ মিসবাবুল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, খেলতে খেলতে সে কোনও ভাবে পুকুরে পড়ে মারা যায়। পুলিশ জানায়, শিশুটিকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশীরা পুকুরে জাল ফেলেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
|
সিঙ্গুরে শাকিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’ চাষিদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ। খাদ্য সুরক্ষা বিলের সমর্থনে মঙ্গলবার সিঙ্গুরে মিছিল এবং সভা করে কংগ্রেস। |