জয়ন্ত ঘোষাল (‘হিন্দুত্ব আর কঠোর প্রশাসনের মোদীপাক’, ৮-৮) বলেছেন, ‘কংগ্রেস পুরো প্রচারটাকেই মোদী-কেন্দ্রিক করতে মরিয়া’। ইদানীং কংগ্রেস কিন্তু মোদী-কেন্দ্রিক প্রচার থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। কংগ্রেসের ভিতরে কী হচ্ছে তা তাঁরাই ভাল বলতে পারবেন। কিন্তু মোদী-কেন্দ্রিক প্রচারে কংগ্রেসের বিপদ হচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবেই মোদী বনাম রাহুল গাঁধীর তুলনা চলে আসবে। এবং দৃঢ়, কর্মদক্ষ এবং স্পষ্ট নীতি নিয়ে চলা মোদীর পাশে আবোল-তাবোল, ভাসা ভাসা কথা বলা (যথা, দারিদ্র একটি মানসিক অবস্থা, ভারত একটি মৌচাকবিশেষ ইত্যাদি) রাহুলকে নিষ্প্রভ, দিশেহারা দেখাবে। মোদীর পাশে দাঁড় করাবার মতো কোনও মুখ্যমন্ত্রীও কংগ্রেসের কাছে নেই।
নেহরু এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চিন্তার সংঘাতের শিকড়, ‘নরম রাষ্ট্রে’র পক্ষে নেহরুর পক্ষপাত এ কথা আংশিক সত্য মাত্র। পূর্ব পাকিস্তানে সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে পাইকারি হিন্দুহত্যার ব্যাপারে অদ্ভুত অবস্থান নিয়ে নেহরু লিয়াকত আলির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন যে, দু’দেশই তার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে। এরই প্রতিবাদে শ্যামাপ্রসাদ (ছবি) ১৯৫০-এর এপ্রিলে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়েন।
জয়ন্তবাবু ‘সাম্প্রদায়িকতা বনাম ধর্মনিরপেক্ষতা’ বিতর্কের কথা লিখেছেন। ‘বি জে পি সাম্প্রদায়িক’, এটা তো একটা কংগ্রেসি-বাম দোষারোপ মাত্র।
তথাগত রায়। কলকাতা-৭৩ |