তালা লাগিয়ে বেপাত্তা সিউড়ির সদ্য প্রাক্তন রেঞ্জ অফিসার। ফলে ওই অফিসের আলমারি, আসবাবপত্র খুলতে পারছেন না কর্মীরা। এমনকী ওই প্রাক্তন রেঞ্জ অফিসার হস্তান্তর করেননি অফিসের একটি মোটর বাইকের চাবিও। সিউড়ি রেঞ্জ অফিসের এই ঘটনায় বিপাকে পড়েন নতুন রেঞ্জ অফিসার। জেলা বনাধিকারিক সন্তোষা জি আর সিউড়ি থানায় জানালে মঙ্গলবার পুলিশের উপস্থিতিতে তালাগুলি ভাঙা হয়। জেলাশাসককেও জানান ডিএফও।
ডিএফও বলেন, “সিউড়ির রেঞ্জ অফিসার জিতেন মণ্ডলকে ৮ অগস্ট সাসপেন্ড করা হয়। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির কিছু প্রমাণও মিলেছে। একই সঙ্গে জিতেনবাবুকে রাজনগর অফিসে ‘অ্যাটাচ’ করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী সাসপেন্ড হওয়ার পরে আলমারি-সহ যে সব আসবাবপত্রে তালা দেওয়া থাকে, তার চাবি দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তা করেননি। রাজনগরেও যোগ দেননি। এ দিন তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের উপস্থিতে তালাগুলি ভেঙে কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। টাকার হিসেবও করা হয়।”
জেলা বন দফতর সূত্রের খবর, দুর্নীতির অভিযোগেই জিতেনবাবু এর আগেও একবার সাসপেন্ড হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে তখন তিনি খয়রাশোলের বিট অফিসার ছিলেন। সাঁইথিয়ায় রেঞ্জ অফিসারের দায়িত্বে থাকার সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন অভিযোগ ওঠে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। এরই মধ্যে সিউড়িতে রেঞ্জ অফিসারের পদে তিনি বদলি হয়ে যান। সেখানেও কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অবৈধ লেনদেন, নার্সারি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতি-সহ নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এমনকী ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আয় বর্হিভূত সম্পত্তি রাখারও অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ডিএফও জানিয়েছেন, সিউড়িতেও ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তারও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে দফতরের চাবি হস্তান্তর না করে বেআইনি ভাবে নিজের কাছে রাখার জন্য অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ দিন সারা দিনই জিতেনবাবুর ফোন বন্ধ ছিল। |