পশ্চিমবঙ্গে নাকি ক্রীড়া প্রতিভার অভাব! সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় (১২-৭) ছাপা তিরবিদ্ধ ভোটারের ছবিটি চোখে পড়ে না? যে প্রতিভাবান তিরন্দাজ নিখুঁত নিশানায় পলায়নরত ভোটারের হৃৎপিণ্ড ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেছে, তাকে অলিম্পিকে পাঠালে ভারতের জন্য একটি ‘সোনা’ নিশ্চিত ভাবেই বাঁধা। যে সব গুণধর বন্দুকবাজ তুমুল গণ্ডগোলের মধ্যেও এক টিপে বিপক্ষের মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়, অভিনব বিন্দ্রার পরেই তাদের স্থান দেওয়া উচিত। |
যে তুখড় বাইক-বাহিনী সংকীর্ণ, ভাঙা-চোরা রাস্তায় দাপটে বাইক চালায়, তাদেরকে মোটর রেসিং-এ পাঠালে, আমাদের থেকে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নেয় কার সাধ্য? কেন যে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলির চোখ বাংলার এই সব ক্রীড়ারত্নের উপর পড়ে না? এখানেও কি সেই চিরাচরিত বঞ্চনার নীতি? তবে, বড় একটা বাধা অবশ্য রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি কি এই সব সোনার ছেলেকে হাতছাড়া করতে চাইবে? কারণ, এরা ছাড়া যে দলগুলির ক্ষমতার সোনার মেডেল প্রাপ্তি অধরাই থেকে যাবে।
প্রণবকুমার মাটিয়া। রাজরাজেশ্বরপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
|
দীর্ঘ টালবাহানার পর অষ্টম পঞ্চায়েত ভোট পর্ব ও গণনা সম্প্রতি সমাপ্ত হল। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখন এখনও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দেওয়ালের কদর্য রূপ। অবশ্য অধিকাংশ দেওয়াল লিখনে রাজনৈতিক নেতা-হোতারা দেওয়ালের মালিকের অনুমতির ধার ধারেনি। অর্থাৎ জোরপূর্বক বাহুবল দেখিয়ে দেওয়াল লেখা হয়। কিন্তু ভোট প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পরও এখনও, যথারীতি, দেওয়াল মোছা হয়নি। এ ব্যাপারে প্রার্থীদের নিজস্ব একটা দায়িত্ব বা কর্তব্য আছে। রাজনৈতিক দলের নেতা-হোতাদের অনুরোধ, আপনার দলের প্রার্থীদের সমথর্র্নে লেখা দেওয়াল লিখন মোছার ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেওয়ালের হৃত সৌন্দর্য পুনরুদ্ধারে তৎপর হন।
শান্তা ভৌমিক। তারকেশ্বর, হুগলি
|
আমি হালতু কায়স্থপাড়ার পি মজুমদার রোডের বাসিন্দা। গত ২২ জুলাই গুরুপূর্ণিমার দিন আমি বেলুড় মঠে গুরুপ্রণামের উদ্দেশ্যে রওনা হই। রুবি বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ৩৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর একটি যাত্রী-ভর্তি বাস এসে পৌঁছয়। কোনও রকমে যুদ্ধ করে তো বাসে ওঠা গেল। বাসগুলি আকারে ছোট। যত বাস এগোতে লাগল হুড়মুড় করে যাত্রীরা ওই ছোট দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে লাগল। ঠিক যে ভাবে ছোট কৌটোয় চিড়ে চেপে চেপে ভরা হয়, সে ভাবে ওই বাসটিতে যাত্রীদের চেপে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কী নিদারুণ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছিলাম আমরা। এই এলাকার অধিবাসীদের ওই পবিত্র স্থানটিতে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ওই ছোট ছোট বাসগুলি। ট্রেন আছে কিন্তু তা হাওড়া থেকে। আমাদের মতো সাধারণ অগণিত মানুষ এ ভাবেই যেতে বাধ্য হই। বেলুড় মঠে প্রায়ই উৎসব হয় বিশেষ বিশেষ দিনে। এবং অগণিত ভক্ত প্রতিবারই ওই পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। এমন একটা ব্যবস্থা করা হোক, যাতে ওই রুটের বাসগুলিকে আকারে বড় এবং সংখ্যা বাড়ানো হয়। অন্তত এই বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিগুলিতে যেন আলাদা বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
দীপ্তি চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা-৭৮
|
কোনও পরিবারে নবজাতক এলে তাকে অতিথি বলা হয় কেন? (‘কবে আসবে রাজবাড়ির নতুন অতিথি’, ২২-৭) নবজাতকরা পরিবারে আসে আজীবন থাকার জন্য। তাই অতিথি না-বলে পরিবারের নতুন সদস্য বলা যুক্তিযুক্ত নয় কি?
তপনকুমার মল্লিক। রিষড়া, হুগলি
|
সুস্নাত চৌধুরীর লেখা (‘কে সি নাগ’, রবিবাসরীয়, ১৪-৭) প্রসঙ্গে বলি, ক্যালকাটা বুক হাউস তাঁর বইয়ের প্রকাশক হলেও পরের দিকে মুদ্রক ছিলেন তিনি স্বয়ং। প্রসঙ্গত, কেশবচন্দ্র নাগের আগে আর এক প্রসিদ্ধ গণিতের লেখক ছিলেন যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী। তাঁর লেখা অংকের বইও তাঁর নিজস্ব প্রেস থেকে ছাপা ও বাঁধানো হত।
শিশির মজুমদার। কলকাতা-৩২ |