অব্যাহতির আর্জি কাওয়ের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মাঠপুকুর-কাণ্ডে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সোমবার আলিপুর দায়রা আদালতে আবেদন জানান তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও। এর আগে তাঁর জামিনের জন্যও আবেদন করা হয়েছে। আলিপুর এক নম্বর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক মীর রশিদ আলি দু’টি আবেদনেরই শুনানির দিন ধার্য করেন ২ সেপ্টেম্বর। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানিও হবে ওই দিন। এ দিন জেল হাজত থেকে শম্ভুনাথ-সহ ৬ অভিযুক্তকে আদালতে আনা হয়। এই মামলায় ২২ জুলাই চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। এ দিন শম্ভুনাথের আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায় জানান, ওই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছে, চার্জশিটে প্রয়োগ করা হত্যার ধারাটি আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য না হওয়ায় মামলাটি যুক্তিযুক্ত নয়। তাই শম্ভুনাথকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। হাইকোর্ট জানিয়েছে, চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য হওয়ায় তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না। যে আদালতে মামলাটি চলছে সেখানেই আবেদন করতে হবে। অভিযুক্তের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য আদালতকে বলেন, “চার্জ গঠন নিয়ে শুনানি না হলে অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
|
দুষ্কৃতী-আক্রমণে জখম স্কুলছাত্র |
দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত হয়েছে এক ছাত্র। রবিবার রাতে, মনোহরপুকুর রোডে। ওই ছাত্রের নাম আদিত্য ঘোষ চৌধুরী। সে একটি বেসরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ জানায়, ওই রাতে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল আদিত্য। তখন কয়েক জন যুবক তার পথ আটকায়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয় আদিত্যর মাথায়। তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আদিত্যর পরিবারের তরফে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা আদিত্যর পরিচিত। মাসখানেক আগে একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা হয় বলে পুলিশ জেনেছে। পুলিশের দাবি, সেই ঘটনার জেরেই রবিবার রাতে আদিত্যকে একা পেয়ে আক্রমণ করে ওই যুবকেরা। অভিযুক্তেরা পলাতক।
|
পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার |
হাসপাতালের যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত ব্যাটারি কম দামে পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনোতোষ সিংহ নামে ওই যুবককে মেরঠ থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে ব্যাটারির দোকান রয়েছে সিঁথির বাসিন্দা বিনোদকুমার গুপ্তের। এক বন্ধু মে মাসে মনোতোষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন। মনোতোষ তাঁকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দামের ব্যাটারি মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকায় দেবে বলে জানায়। ২৯ মে তার সঙ্গে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে যান বিনোদ। তাঁকে হাসপাতালের প্যাডে লেখা একটি চালান দেয় মনোতোষ। তার পরে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিনোদ। এত দিনে মনোতোষ ধরা পড়ল মেরঠে। |
কসবার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশ জানায়, মনোজ দাস নামে ওই ব্যবসায়ী কসবার বাসিন্দা হলেও তাঁর অফিস লেক থানা এলাকায়। ১২ অগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ। মনোজের স্ত্রীর অভিযোগ, ব্যবসায়িক কারণেই তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। |