এ দেশে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় শতকরা ৬০ জন হৃদরোগীর। শনিবার কলকাতায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি সম্মেলনে এমনই মত প্রকাশ করেন এক দল চিকিৎসক। তাঁদের মতে, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবেই এই রোগ মারাত্মক আকার নেয়। অসুস্থ হলে রক্তচাপ পরীক্ষা করারও প্রয়োজন মনে করেন না অনেকে। আর তার জেরেই হৃদরোগে মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়।
হৃদরোগের প্রকোপ থেকে মানুষকে বাঁচাতে চিকিৎসকদের কী করা প্রয়োজন, তা নিয়ে এ দিন শুরু হল কলকাতায় ‘সোসাইটি ফর কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশন’-এর ৫ম বার্ষিক সম্মেলন। উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ-বিদেশের শ’তিনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাজির ছিলেন সেখানে। সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল কলকাতা ও দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে হৃদরোগীদের অপারেশনে ব্যস্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথোপকথন।
দিল্লি থেকে আলোচনায় যোগ দেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অশোক শেঠ, ভেলোরের জর্জ জোসেফ, কলকাতার প্রকাশ মণ্ডল প্রমুখ। অস্ত্রোপচার নিয়ে চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সোসাইটির কর্ণধার মনতোষ পাঁজার কথায়, “ভারতে হৃদরোগীর মধ্যে ৪০ বছরের নীচে রয়েছে শতকরা ২৫ ভাগ, ৫০ বছরের নীচে ৩৩ ভাগ এবং ৬০ বছরের নীচে শতকরা ৫০ ভাগ। সামান্য একটু স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকেই হৃদরোগের আশঙ্কা কমানো যেতে পারে।” তিনি জানান, ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে হৃদরোগের প্রকোপ ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। চিকিৎসকদেরও তৎপর হতে হবে। এই ধরনের প্রশিক্ষণমূলক আলাপ-আলোচনায় উপকৃত হবেন গ্রামীণ এলাকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞেরা। |