|
|
|
|
টুকরো খবর |
বিএড কলেজ ঘুরে দেখতে নয়া কমিটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজ্যে যতগুলি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন নেই, তার প্রতিটির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। পরিকাঠামোর কোনও খামতি ধরা পড়লে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেগুলির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এসে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্য সরকার বিএড শিক্ষার উপরে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। বিএড কলেজগুলির জন্য পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে চলছে। সেখানে অনুমোদন না থাকার সমস্যা থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। এই সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি প্রতিটি কলেজে পৃথক ভাবে পরিদর্শন করে, সবকিছু খুটিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। আশাকরি এক বছর পরে আর এই সমস্যা থাকবে না।” মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত কমিটিতে উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি ছাড়াও জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের প্রতিনিধিও থাকবেন। জয়েন্ট এন্ট্রাসের পৃথক কাউন্সিল থাকায় তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেও তাঁদের প্রতিনিধিদেরও কমিটিতে সামিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলির পরিকাঠামো ছাড়াও, ভর্তির ফি কাঠামোও খতিয়ে দেখা হবে। রাজ্যের সব বিএড কলেজে অভিন্ন ফি ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। বাম আমলে বিএড কলেজগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগও উঠেছিল। সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্যবাবু বলেন, “সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন অভিযোগ যাতে আর না ওঠে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
|
কুচকাওয়াজে যোগ দিয়ে পুরস্কার পাবে ১৬টি স্কুল |
রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া ১৬টি স্কুলকে পুরস্কার দেবে রাজ্য সরকার। প্রতিটি স্কুলের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার মূল্য ধার্য হয়েছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে করে স্কুলগুলির হাতে পুরস্কার-মূল্য দেওয়া হবে। স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাদন গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ণময় এই শোভাযাত্রা দেখে খুশি হন তিনি। তারপরই রাজ্যের ওই ১৬টি স্কুলকে উৎসাহ দিতে আর্থিক পুরষ্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের বাজেট থেকেই এই অর্থ খরচ করা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। দফতরের এবারের বাজেটে বিভিন্ন উৎসব ও পুরস্কারের জন্য ৬ কোটি টাকা ধরা আছে। ওই বরাদ্দ প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে। আলিপুরের প্রস্তাবিত ধনধান্য স্টেডিয়ামের মাঠে এক অনুষ্ঠানে ওই পুরস্কার দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। যে ১৬টি স্কুল এই পুরস্কার পাবে সেগুলি হল- টেকনো ইন্ডিয়া, এপিজে স্কুল(ব্যান্ড), অশোক হল, বঙ্কিম ঘোষ মেমোরিয়াল, গার্ডেনরিচ মুদিয়ালি হাই স্কুল, সিস্টার নিবেদিতা স্কুল, আর্যকন্যা মহাবিদ্যালয়, লিলুয়ার কে সি মিল কেজরিওয়াল হাইস্কুল, পশ্চিম মেদিনীপুরের বসন্তপুর ঝড়েশ্বর স্কুল (কুচকাওয়াজের জন্য), সর্বশিক্ষা মিশনে পথশিশুদের স্কুল প্রথম আলো, সেন্ট মেরিজ স্কুল, সেন্ট জন্স ডায়াসেশন, সাউথ পয়েন্ট, বেহালা গার্লস হাইস্কুল, কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র হাইস্কুল আর কোচবিহারের ছতরমপুর হাইস্কুল।
|
পুরভোটেও আধাসেনা চায় কমিশন |
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বৈরথ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এ বার রাজ্যের ১২টি পুরসভার নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, সুষ্ঠু ভাবে ভোট করতে হলে অন্তত ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। এই দাবি জানিয়েই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। আলিপুরদুয়ার, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, ডালখোলা, বালুরঘাট, চাকদহ, পানিহাটি, হাবরা, ডায়মন্ড হারবার, বর্ধমান, গুসকরা ও দুবরাজপুর পুরসভায় ২১ সেপ্টেম্বর ভোট করতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার পুরনির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, ওই তারিখেই ভোট হবে। ভোটগণনা ২৪ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র পেশ শুরু হয়েছে এ দিনই। চলবে ২৩ অগস্ট পর্যন্ত। কমিশনের সচিব তাপস রায় জানান, রাজ্য সরকার কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করতে পারবে, সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-র সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের বৈঠকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। সচিব জানান, কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছে ২২ নভেম্বর। সব মিলিয়েই ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে। এ দিন মীরাদেবীর সঙ্গে সবর্দলীয় বৈঠকে দাবি ওঠে, মনোনয়নপত্র পেশের প্রক্রিয়াটিও ভিডিও-য় তুলে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। পুরনির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দাবিও জানানো হয়।
|
ডিজেল বাড়বে বুঝেও বাসভাড়া প্রশ্নে অনড় রাজ্য |
হাজারো আবেদন-নিবেদনেও বাসের ভাড়া বাড়েনি। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় জ্বলতে জ্বলতেই ধর্মঘট ডেকেছেন বাস-মালিকেরা। টাকার দাম কমতে থাকায় সেই জ্বালা বাড়বে বলেই তাঁরা মনে করছেন। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের নিরিখে টাকার দাম যত পড়ছে, ততই বাড়ছে ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা। সেই আশঙ্কার শরিক রাজ্য সরকারও। তবু ভাড়া না-বাড়ানোর গোঁ ছাড়ছে না তারা। ডিজেলের দাম ফের বাড়লে পরিবহণ শিল্পের সঙ্কট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বাস-মালিকেরা। এ ব্যাপারে তাঁর যে হাত-পা বাঁধা, কার্যত তা মেনে নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র শুক্রবার বলেন, “এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমি একা নিতে পারি না। আমার উপরে আছে মন্ত্রিগোষ্ঠী। আছেন মুখ্যমন্ত্রী। অতএব আমি মন্তব্য করব না।”
|
খাদ্য ভবন অভিযান ফরওয়ার্ড ব্লকের |
খাদ্যপণ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখার দাবিতে আগামী ৩০ অগস্ট খাদ্য ভবন অভিযান করবে ফরওয়ার্ড ব্লকের কলকাতা জেলা কমিটি। ওই দিন ধর্মতলায় সিইএসি-র সদর দফতরের সামনে থেকে মিছিল করে খাদ্য ভবনে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দাবিসনদ দেবে ফ ব। দলের কলকাতা জেলা সম্পাদক মইনুদ্দিন শামসের বক্তব্য, “খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন অনুযায়ী কালোবাজারিদের গ্রেফতার করুক সরকার।” |
|
|
|
|
|