নিচু জমি। তাই আশপাশের অঞ্চলের জল এসে জমা হচ্ছে। এই জলের চাপেই ভেঙে যাচ্ছে টালা ঝিল পার্কের জলাশয়ের পাশের পাঁচিল এবং পাড়। সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু পুর-বাজেটে এর জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ নেই। তাই রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছেন পুরকর্তৃপক্ষ।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “টালা ঝিল পার্কের জলাশয়ের পাশের পাঁচিল এবং পাড় মেরামতি অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু পুরসভার কাছে এই মুহূর্তে কোনও অর্থ নেই। তাই রাজ্য সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।”
|
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০৪-’০৬-এ কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে (কেইআইপি) এই পার্কের সংস্কার হয়। ঝিলের মধ্যে একটি সেতু তৈরি হয়। জলাশয়ের পাড় বাঁধানো হয়। এলাকার নিকাশি সংস্কারের কাজও হয়। তবুও জল জমছে। একটু বৃষ্টিতেই জলাশয় এবং সংলগ্ন রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় জল জমে থাকছে। সম্প্রতি, জলাশয়ের পাড় ভেঙে পড়েছে। কয়েক দিন আগে জলাশয়ের পাশের একটি পাঁচিলও ভেঙে পড়েছিল। পুরসভা তড়িঘড়ি সেটি সারিয়ে দেয়। পাঁচিল এবং পাড়ের দ্রুত সামগ্রিক সংস্কার দরকার বলে পুরসভার উদ্যান বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা পুরকর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, টালা ঝিল পার্ক এলাকাটি নিচু হওয়ায় আশপাশের এলাকার জল এখানে চলে আসে। বর্ষায় জলাশয় ভরে যায়। এ ভাবে জল জমার ফলে পুকুরের পাড় এবং পাঁচিলের কাঠামো দুর্বল হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও পাঁচিলে ফাটল ধরেছে। কেইআইপি-র ডিরেক্টর জেনারেল সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় নিকাশির কাজ শেষ হয়েছে। আগের চেয়ে দ্রুত জল বেরোচ্ছে। টালা ঝিল পার্কের জলাশয়টির বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।” |
স্থানীয় এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর তরুণ সাহা বলেন, “টালা ঝিল পার্কের পাড়ের অবস্থা খারাপ। আমি পুরসভার প্রজেক্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিটকে এ বিষয়ে পরিকল্পনা করতে বলেছি। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা বাজেটে নেই বলে তাঁরা জানিয়েছেন।” পুরসভার প্রজেক্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের ডিরেক্টর জেনারেল সুব্রত শীল বলেন, “জলাশয়টির পাঁচিল এবং পাড়ের সামগ্রিক সংস্কার করতে ৬০ লক্ষ টাকা দরকার। এই টাকা পুরসভার বাজেটে বরাদ্দ করা নেই। তাই রাজ্য সরকারের ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প থেকে অর্থ পাওয়ার
চেষ্টা চলছে।” |