‘অজানা’ জন্তুর আক্রমণে ১৬ জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ মানিকচক থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলায় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। জখমদের মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা, প্রতিষেধক ইনজেকশন দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, জন্তুটি গ্রামবাসীদের কারও পায়ে, কারও হাতে কামড়েছে।
জখম গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, চার বছর আগে একই ধরনের জন্তুর হামলায় এলাকার একটি শিশু মারা গিয়েছিল। চার বছর পর ফের গ্রামবাসীদের জখম হওয়ার খবর জানজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিষয়টিতে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বিধাযক তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “কী ধরণের জন্তু, কোথা থেকে এসেছে সেই ব্যাপারে বিশদ রিপোর্ট বন দফতরকে জানাতে বলেছি।” আর বন দফতরের মালদহ ডিভিশনের ডিএফও অজয় দুবে বলেন, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। জখমের ধরণও দেখা হচ্ছে। তার পরেই জন্তুটিকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিধান মিশ্র জানান, গ্রামবাসীদের জখম ও বিবরণ শুনে মনে হচ্ছে হায়না জাতীয় কোনও জন্তু হতে পারে। গঙ্গার চরে জঙ্গলে তাদের বাসস্থান। গঙ্গার জল বাড়ায় সম্ভবত চর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সেখান থেকে সেগুলি ভেসে গঙ্গা লাগোয়া বালুটোলা গ্রামে ঢুকে পড়েছে।
হামলায় জখম সুখিয়া বিবি জানান, রাতে বাড়ির মধ্যে উঠানে বসে গল্প করছিলাম। সেই সময় প্রতিবেশী নজরুল হক শৌচাগারে দিকে গিয়েই চিৎকার করতে থাকে। আমরা সবাই গিয়ে দেখি নজরুলের পা দিয়ে রক্ত ঝরছে। ওঁর চিৎকারের মধ্যে টর্চের আলো ফেলতেই দেখি কালো হলুদ ছোপ ছোপ জন্তুটি আমার দিকে তেড়ে আসে। পালানোর আগেই হাতে কামড়ে দেয়। তার পরে যে এগিয়ে গিয়েছে তাকেই কামড়ে দিয়েছে জন্তুটি। অন্ধকারে কেউ ঠিক করে কিছুই বুঝতেই পারেনি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাপাদাপি করে জন্তুটি নদীর দিকে পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, জন্তুটির হামলার আশঙ্কা গ্রামের ছেলেরা এদিন থেকে পালা করে রাতজাগা শুরু করেছেন। |