|
|
|
|
স্বাধীনতার পতাকা ওঠে রাঁচির পাহাড়ি মন্দিরেও
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
দেশের স্বাধীনতার পূণ্যলগ্নের অন্যতম সাক্ষী রাঁচির ওই পাহাড়ি মন্দির। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রচারের একটুও আলোও পৌঁছল না সেখানে।
বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসে দেশের বিভিন্ন মহানগর, নগর নতুন সাজে সাজলেও, বিবর্ণ হয়ে রইল পাহাড়ি মন্দির।
ঝাড়খণ্ডের সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার দিন রাত বারোটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছিল দিল্লির কাউন্সিল হাউসে। একই সময় জাতীয় পতাকা তোলা হয় রাঁচির ফাঁসি টোংড়ির চূড়ায়। ফাঁসিটোংড়িই পরবর্তীকালে হয়ে যায় পাহাড়ি মন্দির। ১৬ অগস্ট সকালে ফাঁসিটোংড়িতে ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী।
প্রশাসনিক তথ্য জানায়, খাদির কাপড়ে পাতার রস ঘষে সবুজ আর কমলা লেবুর খোসায় সিঁদুর, কেশর মিশিয়ে গেরুয়া রং করে তৈরি হয়েছিল তেরঙ্গা। তারপর ওই পতাকা ওঠে পাহাড়ি মন্দিরের শীর্ষে।
২০০ ফুট উঁচু ওই পাহাড়কে আদিবাসী ভাষায় ফাঁসিটোংড়ি বলা হত। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই পাহাড়ের গাছে অনেক বিপ্লবীর ফাঁসি হয়েছিল। পাহাড়ি মন্দির বিকাশ সমিতির দাবি, মন্দিরে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তোলা হয়। বৃহস্পতিবার একটি ছোটোখাটো সরকারি অনুষ্ঠানও হবে। স্থানীয় মানুষ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, সরকারি দফতরের মতোই প্রতিদিন পাহাড়ি মন্দিরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হোক।
রাঁচির ডেপুটি কমিশনার তথা মন্দির কমিটির সভাপতি বিনয়কুমার চৌবে বলেন, “তার জন্য আলাদা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করতে হবে। কোনওদিন পতাকা নামানো না-হলে তা সাংবিধানিক ভুল হবে। সে কারণেই ওই অনুরোধ এখনই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।” |
|
|
|
|
|