রাতভর নিঁখোজ এক সিপিএম কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা থানার লতাপোতা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম হিতেন বর্মন (৫৮)। তাঁর বাড়ি লতাপোতা এলাকায় পেশায় কৃষক হিতেনবাবু ৮০ দশকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ছিলেন। সারাভারত কৃষকসভার অঞ্চল কমিটির সদস্য হিতেনবাবু পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে একটি টেলিফোন আসবার পর তিনি বাড়ি থেকে বার হওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এদিন বাড়ি থেকে এক কিমি দূরে লতাপোতা এলাকার রাস্তায় ওপর তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। তাঁর বুকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ঠিক কী কারণে এই খুন তা এখনও পুলিশ বা নিহতের পরিচিতদের কাছে স্পষ্ট নয়। সিপিএমের অভিযোগ, লতাপোতা এলাকার এক তৃণমূল সমর্থক তাঁকে ফোন করার পরে হিতেনবাবু বাড়ি থেকে বার হন। ওই খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের তরফেও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।’’ নিহতের দল সিপিএমের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজের বাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর প্রতিবাদ করেছিলেন। তা নিয়ে হিতেনবাবুর সঙ্গে তাঁদের বাদানুবাদ হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ হিতেনবাবুর মোবাইলে একাধিক বার ফোন আসে। তৃতীয় দফায় ফোন করার পর তিনি এক জনের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেন। তার পরে ঘুরে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বার হন। এ দিন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নারায়ণ সরকার বলেন, “এলাকারই এক তৃণমূল সমর্থক তাঁকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। ওই ব্যক্তি খুনের ঘটনায় জড়িত বলে মনে হচ্ছে। পুরো বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে।”
তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রণয় ঘটনিত কোনও কারণে ওই খুনের ঘটনা হয়েছে বলে এলাকা থেকে খবর পেয়েছি। এতে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। পুলিশ ঠিক ভাবে তদন্ত করলেই সব স্পষ্ট হবে।” |