আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রায় প্রতি ওয়ার্ড থেকেই আট থেকে দশ জন করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম জমা পড়েছে দলীয় নেতৃত্বের কাছে। এর ফলে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল নেতৃত্ব খানিকটা সমস্যায় পড়েছে বলে জানা গিয়েছে দলেরই একটি সূত্রে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্যের আরও ১১টি পুরসভার সঙ্গে বর্ধমান পুরসভাতেও ভোট হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ১৬ অগস্ট বর্ধমানের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বার এই পুরসভায় দলের যে পাঁচ জন জিতেছিলেন, তাঁদের এ বারও প্রার্থী করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কাউন্সিলর সমীর রায়ের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গত বার জিতেছিলেন তৃণমূলেরই রত্না রায়। সমীরবাবু ও রত্নাদেবীকে এ বার ওয়ার্ড অদলবদল করে প্রার্থী করা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তৃণমূল নেতা খোকন দাস গত বার যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন, সেটি এ বার তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত। তাই খোকনবাবুকে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হতে পারে বলে খবর। তবে তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্করী ঘোষ ও খোন্দকার মহম্মদ সাহিদুল্লাহ গত বার যেখান থেকে জিতেছিলেন, এ বারও সেই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়া স্বরূপ দত্তকে এ বার পুরভোটে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের বর্ধমানের অন্যতম পর্যবেক্ষক অলোক দাস। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, গত বিধানসভা ভোটে স্বরূপবাবুকে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে পিছিয়ে আসা হয়েছিল। তবে এ বার পুরসভায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।
এই ছ’টি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ২৯টি ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্যায় পড়েছেন বলে দলেরই একটি সূত্র জানিয়েছে। এক তৃণমূল নেতার কথায়, “প্রতিটি ওয়ার্ডেই আট-দশ জন করে দলীয় নেতা বা কর্মীর বায়োডোটা জমা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।” তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতারা অবশ্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমস্যা বা ক্ষমতায় এলে পুরপ্রধান হিসেবে কার নাম বিবেচিত হবে, সে নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাননি। |