হাইকোর্টে ভর্ৎসনা মোর্চাকে, ধরপাকড় অব্যাহত পাহাড়ে |
গত কালই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ৭২ ঘণ্টার ‘ডেডলাইন’ শেষ হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এর পরও বনধ চালালে কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। সেই মতো গত কাল দার্জিলিং পুরসভার কাউন্সিলর শুভময় চট্টোপাধ্যায়-সহ নোর্চার মোট ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁদের প্রত্যেককে পুরনো মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাহাড়ে আজও ‘জনতা কার্ফু’ জারি থাকার কারণে কার্যত বনধই চলছে। রাস্তা-ঘাটে লোকজন খুবই কম চলাফেরা করছে। যাত্রী তেমন না থাকলেও সমতল থেকে পাহাড়ের যোগাযোগ বাড়াতে এনবিএসটিসি-র বাস চালানো হচ্ছে। আজ পাহাড়ে বনধ ১১ দিনে পড়ল। তীব্র খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ের তিনটি মহকুমায় থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে রেশন বিলি করা হবে। সেই মতো রাজ্য খাদ্য দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
অন্য দিকে, পাহাড়ে লাগাতার বনধ করার জন্য মোর্চাকে তীব্র ভর্ৎসনা
করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেছেন, বনধের জন্য পাহাড়ের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় ন্যূনতম জিনিস তাঁরা পাচ্ছেন না। এর দায় কে নেবে? মোর্চার আইনজীবী অভিযোগ করেন, প্রথমবার ২৯, ৩০ ও ৩১ জুলাই বনধ ঘোষণা হওয়ার পর সমতল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ইত্যাদি পাহাড়ে নিয়ে যেতে বাধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস ও আমরা বাঙালি নামে একটি সংগঠন। তবে তাঁর কোনও যুক্তিই মানতে চাননি বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, ‘জনতা কার্ফু’ অসাংবিধানিক। বনধ চলাকালীন প্রচুর সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। পাহাড়ের মানুষের এই ‘ভোগান্তির’ জন্য কেন মোর্চাকে জরিমানা করা হবে না, তা ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে বনধ করা যাবে না। করলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হবে।
|
তৃণমূল নেতা খুনে খয়রাশোলে গ্রেফতার ৪ |
তৃণমূল নেতা অশোক ঘোষ খুনে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাতে মৃতের স্ত্রী বিজয়া ঘোষ ও ছেলে বিশ্বজিত্ ঘোষ খয়রাশোল থানায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ভাই রজত মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণ বাউড়ি, মনোরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, কালীচরণ দাস, অনুদয় বাউড়ি, অনুজ কুমার সিংহ, আলামত আনসারি-সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ১২ জনই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী বলে পরিচিত। অশোক মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাঁদের বাড়িতে তালা দেওয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত কাল বিশ্বজিত্ বাবু তাঁর বাবার খুনের জন্য অনুব্রত মণ্ডল ও অশোক মুখোপাধ্যায়ের নামে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে অনুব্রতর নাম দেখা যায়নি। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের শীর্ষ নেতারা মৃতের আত্মীয়দের নির্দেশ পাঠিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ না খুলতে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তাঁদের যা অভিযোগ তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানাতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ এক প্রকার মেনে নিয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি অনুব্রতর বিরুদ্ধে। পরিবারের আশা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে। সুবিচারের আশায় দলের সিদ্ধানেতর প্রতি ভরসা রাখছেন তাঁরা।
|
মুম্বইয়ে নৌসেনার সাবমেরিনে আগুন |
এই সাবমেরিনটিতেই আগুন লেগেছে। ছবি: রয়টার্স |
গত কাল রাত ১২ নাগাদ ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিন সিন্ধুরক্ষকে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। সূত্রের খবর, প্রথম বিস্ফোরণ হওয়ার পর আরও দু’টি বিস্ফোরণ হয় সাবমেরিনটিতে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৪০টি ইঞ্জিন কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও সাবমেরিনের মধ্যে ১৮ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনটি বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিন্ধুরক্ষকে। বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে ধোঁয়াশা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। |