দলের পুর চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু, কাউন্সিলর-সহ একদল নেতা তৃণমূলে যোগ দিতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামল জেলা কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য ১৭ই অগস্ট সমস্ত ব্লক কংগ্রেস সভাপতি, জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী। সেখানে শহরে দলকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজার পাশাপাশি দলবদলকারী নেতাদের শূন্যপদে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সিতাইয়ের বিধায়ক কেশব রায় বলেন, “কংগ্রেসে থেকেই বীরেন কুণ্ডু আজকের বীরেন কুণ্ডু হয়েছেন। তিনি কিছু অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মানেই কোচবিহারে কংগ্রেস শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আগামী ১৭ অগস্টের বৈঠকে সব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে।” দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন জেলা কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত নেতা অভিজিত্ দে ভৌমিক, জেলা ছাত্র পরিষদ সভাপতি অরিন্দম দে, যুব কংগ্রেস সভাপতি রাকেশ চৌধুরীও পান্থশালায় বৈঠক করে দলের আগামী দিনের রণনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিজিত্বাবু বলেন, “কোচবিহারে কংগ্রেসের শক্তি ছিল আছে, থাকবে। আগামী মাসে দলের দিল্লির নেতারা আসবেন। পরপর সভা করা হবে।” এ দিন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বীরেন কুণ্ডু জানান, জেলায় ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা কলেজগুলির নির্বাচনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে জেতানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করব। ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা কোচবিহার শহরের কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিস্তর অস্বচ্ছতা রয়েছে। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব আমাকে ছাত্র-যুব সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি আগেও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কংগ্রেসের একাংশ নেতার জন্য তা পারিনি। বীরেনবাবুর অভিযোগকে আমল দিতে চাননি কংগ্রেস নেতারা। সাধারণ সম্পাদক অভিজিত্ দে ভৌমিক বলেন, “উনি তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে কলেজে ছাত্র পরিষদকে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন। মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। আমরা এসব নিয়ে ভাবছি না।” |