গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের টাকা আদায় করতে রাজ্যের তিন মন্ত্রীকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও জল সম্পদ মন্ত্রীর দফতরের সামনে ধর্না ও অনশনে বসার কথা বললেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেচমন্ত্রী মালদহ জেলার দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রকে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, মানিকচকের বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন। অগস্ট মাসের শেষে তিনি ধর্নায় বসার কথা বললেও দিনক্ষণ জানাননি। সেচমন্ত্রী বলেন, “ফরাক্কা ব্যারেজের ৪০ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের করা কথা। আমি দিল্লিতে মন্ত্রী, আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছি। বহু চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তিন ধরে এসব হয়েছে। আর উপায় নেই ধর্না, অনশনে বসব।” তিনি জানান, “গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের টাকা আদায় করতে এই মাসের শেষে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, মালদহের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এবং আরেক মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে নিয়ে দিল্লি যাব।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং জলসম্পদ মন্ত্রীর দফতরের সামনে অগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহে ধর্নায় বসা হবে বলে তিনি জানান। এ দিন সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজ রাজ্য সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। যদিও জরুরি ভিত্তিতে গঙ্গা নদী লাগোয়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে প্রায় ৯ কোটি টাকা এ দিনই বরাদ্দ করা হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন। পাশাপাশি ফুলহার ও মহানন্দা নদীর ভাঙনরোধে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। সেচমন্ত্রী বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে সেচ দফতরের সব বাস্তুকারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।” মালদহে গঙ্গার জলস্তর গত ২৪ ঘন্টায় ৪ ইঞ্চি কমেছে বলে জানা গিয়েছে।। মানিকচক, রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের ২৪টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এ দিন সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার ফুলহার নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন সেচ মন্ত্রী রাজীববাবু। সোমবারও ফুলহারের জল বেড়েছে। বিপদসীমার প্রায় ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়েই নদী বইছে। সেচ দফতর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলহারের জলে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ও রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের অসংরক্ষিত এলাকার ১৬ গ্রামের ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা জলবন্দি রয়েছেন।
|