নিকাশি নালার মুখে লোহার স্লুইস গেট ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। মেরামত না হওয়ায় জোয়ার এলেই মণি নদীর জলে ভাসে রায়দিঘির বাজার। ফলে জমা জলে সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ী থেকে বাজারে আসা ক্রেতারা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্লুইস গেটটি মেরামতির জন্য বার বার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি বাজারের ওই স্লুইস গেটটি ভেঙে যাওয়ার জন্য বিপর্যস্ত নিকাশি ব্যবস্থাও। জোয়ারে জল ঢুকলে সেই জল নামার রাস্তার পায় না। ফলে জমা জলের দুর্গন্ধে আর জলকাদায় নাজেহাল অবস্থা হয় দোকানদার থেকে ক্রেতা সকলেরই। |
বছর দশেক আগে রায়দিঘি বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বর্ষার জল নিকাশির জন্য তিনশো মিটার দীর্ঘ হাইড্রেন এবং আরও দু’শো মিটার দীর্ঘ ড্রেন তৈরি করা হয়েছিল। মণি নদী সংযোগ থাকার দরুন ওই নিকাশি নালা নিয়ে যাতে জোয়ারের জল না ঢুকতে পারে সে জন্য লোহার স্লুইস গেটও লাগানো হয়। কিন্তু গেটটি তৈরি হওয়ার কয়েক মাস পরেই ভেঙে পড়ে। ফলে প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় ভরা কোটালের জল ওই নালা দিয়ে উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়ে চলে আসে বাজারে। এলাকার বেশ কিছু পুকুরেরও নিকাশি নালা দিয়ে নোনা জল ঢুকে পড়ে। ফলে নষ্ট হয়ে যায় পুকুরের মাছ। ছড়ায় দূষণ। জমা জলে বাজারের জিনিসপত্রেরও প্রভূত ক্ষতি হয়। বাজারে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার ছোট বড় দোকান। বাজারের মধ্যেই বসবাস প্রায় শ’খানেক পরিবারের। জোয়ারের জল ঢোকায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাঁদেরও।
রায়দিঘি বাজারের ব্যবসায়ী দেবাশিস ভাণ্ডারী বলেন, “যতক্ষণ বাজারে হাঁটুসমান জল জমে থাকে, ততক্ষণ ব্যবসা বাণিজ্য লাটে ওঠে। বিশেষত পুজো বা ঈদের মরসুম হলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এ ছাড়াও সর্বত্র বিদ্যুৎ এবং আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর জল উঠলে দুশ্চিন্তা থেকে যায়।”
রায়দিঘি বাজার কমিটির সম্পাদক সন্তোষ মাইতি বলেন, “স্লুইস গেটটি সংস্কার না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব দফতরে বহুবার জানানো হলেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।”
মথুরাপুর-২ এর যুগ্ম বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই স্লুইস গেটটি একবার সারানো হয়েছিল। পরে তা ফের ভেঙে যায়। বর্তমানে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |