শারদ্বত মান্না (‘বঙ্কু ঠাকুর’, ২৮-৭) সে কাল এবং এ কালের নিরিখে বঙ্কিম প্রতিভার সামগ্রিক মূল্যায়ন করেছেন। এটি একটি সময়োচিত লেখা। বঙ্কিমের মতো মনীষী, প্রাজ্ঞ, সর্বতোমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের ১৭৫ তম জন্মের পূর্তিতে ‘বাঙালির কোনও হেলদোল নেই’ বলে লেখকের আক্ষেপের সঙ্গে আমি একমত।
তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, লেখক বঙ্কিম প্রতিভাকে উচ্চমার্গে স্থাপন করতে গিয়ে এমন কতকগুলো অশোভন শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার করেছেন, যা বঙ্কিমের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। তিনি লিখেছেন, ‘রবি ঠাকুর’-এর মতো ইনিও ‘বঙ্কু ঠাকুর’ হয়ে উঠতেন। অমার্জিত রসিকতা।
আবার, রচনাটির সূচনায় লেখক লিখেছেন, “রবি ঠাকুর আর বিবেকানন্দ ঠাকুরের ‘শ্রাদ্ধ’ শতবর্ষের হুল্লোড়ে বাঙালি আর ঠাকুরের কথা বেমালুম ভুলে মেরে দিল’’। ‘সার্ধ’র পরিবর্তে ‘শ্রাদ্ধ’ শব্দটি এমন মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ রুচিহীনতার পরিচয় নয় কি?
লেখক শেষাংশে লিখেছেন, “বাঙালির একটু ভুল হয়ে গেল না কি? আর একটু আগে যদি খেয়াল পড়ত, বন্দেমাতরম্ ছাড়াও দু-একটি কবিতাকে সুর-টুর দিয়ে বঙ্কিম গীতি বলে চালালেই দু-চার দিন ছুটি পাওয়া যেত। ইস মিস হয়ে গেল!” এই সব বাক্যপ্রয়োগে রচনার মূল ভাবটি জোলো হয়ে গেছে। জোরালো বক্তব্যটি ব্যঙ্গের রূপ নিয়েছে।
অভয়চরণ দে। সম্পাদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, নৈহাটি শাখা |