কাটল না বিপদসঙ্কেত। অর্থনীতিতে কালো মেঘের ঘনঘটা যে চলছেই, তা স্পষ্ট করে দিল জুন মাসে ফের শিল্পোৎপাদন কমার পরিসংখ্যান।
সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসখ্যানে জানা গিয়েছে, জুনেও ২.২% কমেছে শিল্পোৎপাদন। মে মাসের সংশোধিত হিসেব অনুসারে তা কমেছে ২.৮%। (পুরনো হিসেব ছিল ১.৬%) বাড়া তো দৃরের কথা, সরাসরি সঙ্কুচিত হয়েছে উৎপাদন। যে ২২টি শিল্পের উৎপাদনের হিসেব-নিকেশ করে সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অর্গানাইজেশন এই হার প্রকাশ করে, তার মধ্যে ১৩টির ক্ষেত্রেই নিম্নমুখী উৎপাদন। মূলধনী পণ্য উৎপাদন কমেছে ৬.৬%, যা লগ্নি কমার লক্ষণ বলে মনে করছে শিল্পমহল।
তবে এই অশনি সঙ্কেতের মধ্যেই আশার আলো দেখিয়েছে রফতানি। জুলাই মাসের হিসেবে তা ১১.৬% বেড়েছে, যা গত প্রায় দু’বছরে সর্বোচ্চ। আমদানিও কমেছে ৬.২%। বাণিজ্য সচিব এস আর রাও এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “সম্প্রতি রফতানি ঋণে সুদের হার কমানো সমেত রফতানি বাড়াতে নেওয়া একগুচ্ছ ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও রফতানি বাড়াতে সাহায্য করবে।” |
রফতানিকারীদের সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্স (ফিও) এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে একমত। তারা বলছে, “গত ছ’মাসে নেওয়া বিভিন্ন সরকারি ব্যবস্থাই রফতানিকে বৃদ্ধির সড়কে ফিরিয়ে এনেছে।” এটা ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনীতির কিছুটা হাল ফেরার ফলেও সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে ফিও। আগামী মাসগুলিতে এই প্রবণতা বজায় থকবে বলে তারাও আশাবাদী। বাণিজ্য ঘাটতি অবশ্য একই রকম রয়েছে জুলাইয়ে, ১২২০ কোটি ডলারে (৭৩,২০০ কোটি টাকায়)। জুলাইয়ে রফতানি ছুঁয়েছে ২৫৮৩ কোটি ডলার, আমদানি ৩৮১০ কোটি ডলার। সোনা-রুপো আমদানি জুলাইয়ে ৩৪% কমায় আমদানির উপর রাশ টানা সম্ভব হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
শেয়ার বাজার চাঙ্গা। রফতানি বৃদ্ধিতে সাফল্যের খবরে সোমবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে শেয়ার বাজারও। সেনসেক্স ১৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ছুঁয়েছে ১৮,৯৪৬.৯৮ পয়েন্ট। এই নিয়ে পরপর দু’টি লেনদেনে বাড়ল সূচক। খারাপ ফলাফলের জেরে এ দিন স্টেট ব্যাঙ্কের শেয়ার দর মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জে পড়েছে ৩.৪১%। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) মূল ব্যবসা থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ১৩.৬% কমে দাঁড়িয়েছে ৩,২৪১.০৮ কোটি টাকা। অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ায় মুনাফা কমেছে। |