পাট পচানোকে কেন্দ্র করে মারধর ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাটের কচুয়া পঞ্চায়েতের বাগুয়াডাঙা গ্রামে। রবিবার সকালে দু’টি পরিবারের মধ্যে এই ঘটনায় আহত অমেনা বিবিকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক পক্ষের অভিযোগ, সিপিএম করায় তাঁদের উপর অত্যাচার এবং বাড়ি ভাঙচুর করেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অন্যপক্ষের দাবি, পারিবারিক একটি সামান্য ঘটনাকে মিথ্যা রাজনৈতিক রং দিয়ে সিপিএম পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বসিরহাট থানার আইসি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, আমিরুল আলি মণ্ডল এবং আবুল আলি মণ্ডল সম্পর্কে দুই ভাই। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ পাট পচানোর জায়গা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। দুই পরিবারের অন্যরাও তাতে জড়িয়ে পড়েন। আমিরুলের স্ত্রী রেহানা বিবি বলেন, “আমরা সিপিএম করি। কংগ্রেস করে দেওর। গ্রামে সিপিএম জেতার পর থেকে দেওর আবুল ও তাঁর লোকজন হুমকি দিচ্ছিল। আমাদের পাট পচানোর জায়গাও দখল করার চেষ্টা করে। সকালে স্বামী ও ছেলে মাঠে কাজে গিয়েছিল। সেই সুযোগে ওরা বাড়িতে এসে মহিলাদের উপর হামলা চালায়। আমাকেও রেহাই দেয়নি।” অন্যদিকে, আবুল আলি বলেন, “পাট পচানোর জায়গাটা আমার। ভাইকে বারণ করলে না শোনায় গণ্ডগোল বাধে। ওরাই আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। মহিলাদের মারধর বা শ্লীলতাহানির অভিযোগ মিথ্যা।”
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, “পরাজয়ের পর থেকেই কংগ্রেস আমাদের সমর্থকদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। সিপিএম করার অপরাধেই আবুল লোকজন নিয়ে আমিরুলের উপর হামলা চালায়।” ব্লক কংগ্রেস নেতা মসিদার রহমান বলেন, “এটা একেবারেই পারিবারিক বিবাদ। সিপিএম এতে রাজনীতির রং লাগিয়ে আমাদের নামে কুৎসা করছে।” |