এলাকায় প্রোমোটিং ও তোলাবাজি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সার্ভে পার্ক থানার সন্তোষপুর অজন্তা রোড। ভাঙচুর হল এক তৃণমূল কর্মীর অফিসও। স্থানীয় ভাবে এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, জখম হয়েছেন ৩ জন। তাঁদের দু’জন হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস ধরের নেতৃত্বে একদল সমর্থক তোলাবাজি বন্ধের দাবিতে মিছিল করে থানায় স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন। তাপসবাবুর অভিযোগ, একটি ক্লাবের কাছে বাবাই নামে এক তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে মিছিলের উপরে আক্রমণ করে। তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অজন্তা রোডে তাঁর অফিসে বাবাইয়ের নেতৃত্বে ভাঙচুর হয়। হামলায় সুবীর ঘোষ নামে এক জন আহত হন বলে তাঁদের দাবি। অভিযুক্ত বাবাই ওরফে সুমন দে-র কাকিমা শর্মিলা দে বলেন, “বাবাই এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। অভিযোগকারীরা প্রথমে বাড়িতে এসে ওর খোঁজ করে। তাপস ধরের মতো ওই দলেরই কিছু ছেলে হামলা চালায়।” তাঁর অভিযোগ, বাবাইকে না পেয়ে হামলাকারীরা ওঁর ভাই সঞ্জীব এবং মা আরতি দে-কে মারধর করে। বাবাই বাড়ি ঢোকার আগেই রাস্তায় ফেলে তাঁকে রড দিয়ে মারা হয়।” |
তাপসবাবুর অভিযোগ, “১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কিছু ছেলে প্রোমোটারির নামে তোলা তুলছে। দলের ভাবমূর্তি মার খাচ্ছে।” তিনি বলেন, “অজন্তা রোডে একটি বাড়ি ভাঙার কাজ করছেন আমাদের পরিচিত এক জন। তাঁর থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে তারক-অনুগামী বাবাই। প্রতিবাদ করায় সে দল বেঁধে আমার অফিসে আক্রমণ চালায়।”
তাপসবাবুর দাবি, থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এ নিয়ে এলাকা কিছু দিন ধরে অশান্ত। এ দিন এলাকার তৃণমূল ছাত্র-যুবরা দল বেঁধে বাবাইয়ের কাছে কৈফিয়ত চাইতে তাঁর বাড়িতে যায়। তৃণমূলের মিছিল এ দিন যায় মূলত ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে। তাপসবাবু বলেন, “এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় দাস বিষয়টি জানেন।” সঞ্জয়বাবু অবশ্য বলেন, “ঘটনাস্থল আমার এলাকায় নয়। আমি কিছু জানি না।”
তারকেশ্বরবাবুর দাবি, “বাবাইয়ের বাড়িতে হামলাকারীরা তৃণমূলের নয়।” তাপসবাবুর পাল্টা দাবি, “মিছিলকারীরা অনেকেই প্রাণ দিয়ে খেটে ওঁকে পুর-ভোটে জিতিয়েছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, প্রোমোটারিকে ঘিরে কিছু দিন ধরেই দু’পক্ষের ঝামেলা চলছিল। এ দিন দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। |