খুশির ঈদে এ বার রক্তস্রোত বইল ইরাকে। শনিবার রাজধানী বাগদাদ ও আশপাশে ১৬টি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮০ জন। আহত দু’শোরও বেশি। অবস্থার উন্নতি হয়নি রবিবারও। গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণে এ দিন আরও সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ২০০৭-এর পর থেকে এমন রক্তাক্ত রমজান মাস দেখেনি ইরাক।
মাসভর রমজানের পর শনিবার ভিড় উপচে পড়ে শহরের দোকান, রেস্তোরাঁ, পার্কগুলোতে। এরই মধ্যে পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাগদাদ। নিউ বাগদাদে জুতোর দোকান চালান সইফ মউসা। জানালেন, “চোখের সামনেই দোকানের জানলার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেল বিস্ফোরণে। তার পরই দেখি গোটা এলাকা যেন ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে।” |
বাগদাদে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের পরে। ছবি: এ পি |
সব চেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে বাগদাদের উত্তরে তুজ খোরমাতো এলাকায়। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে জনবহুল এলাকায় ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। গাড়িতে বিস্ফোরণ হলে মৃত্যু হয় আট জনের। বাগদাদের নানা এলাকায় পার্কিং লটে রাখা গাড়িতেও একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে। যদিও কোনও হামলারই দায় স্বীকার করেনি জঙ্গি সংগঠন। রবিবার বুহরিজ শহরের চেকপোস্টে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’জনের। বাগদাদের দক্ষিণে রাস্তার পাশে বোমা ফেটে প্রাণ হারান জঙ্গি দমন শাখার তিন অফিসার।
জুলাই থেকেই দুই গোষ্ঠীর দফায় দফায় সংঘর্ষ, জঙ্গি হানায় নিহত হাজারখানেক মানুষ। ঈদের সময় ইরাকে এই হামলার কড়া নিন্দে করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতরের অভিযোগের তির আল কায়দা জঙ্গিদের দিকে। ২০০৬-২০০৭ সালে যে নিত্য মৃত্যু মিছিল দেখেছিল ইরাক, আবারও সেই দুর্দিন যেন না ফিরে আসে, সেটুকুই প্রার্থনা ইরাকবাসীর। |