রাতভর প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করলেও চিকিৎসককে ডাকা তো দূরের কথা কর্তব্যরত নার্সরাও তাঁকে দেখতে আসেননি। শনিবার সকালে কোনওরকমে শৌচাগারে গিয়েছিলেন ওই প্রসূতি। সেখানেই প্রসব হয়ে যায় তাঁর। আর তার জেরেই এ দিন সকাল থেকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বিক্ষোভের মাত্রা। ওই প্রসূতির পরিবারে লোকজনের সঙ্গে যোগ দেন হরিজন সমিতির সদস্যেরা। দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতালের সহকারী সুপার গৌতম দাস বলেন, “ওই প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
শুক্রবার রাতে রায়গঞ্জের পাওয়ার হাউস পাড়ার বাসিন্দা অনিতা বাশফোঁড় হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর তীব্র প্রসব যন্ত্রণা ওঠে বলে পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বাড়ির লোক একাধিকবার কর্তব্যরত নার্সদের ডাকলেও সাড়া মেলেনি। চিকিৎসককে খবর পাঠানোরও প্রয়োজন মনে করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকাল আটটা নাগাদ অনিতাদেবী শৌচাগারে গেলে সেখানেই তাঁর প্রসব হয়ে যায়। প্রসূতির স্বামী পেশায় সাফাইকর্মী রমেশবাবুর দাবি, “সারা রাত স্ত্রীকে কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি। সকালে স্ত্রী-র চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি শৌচাগারেই প্রসব করেছে অনিতা। আমিই ওঁকে তুলে নিয়ে আসি।”
ওই হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বীপ সরকারের দাবি, “রাতে হাসপাতাল থেকে আমাকে ‘কলবুক’ না করায় আমি আর হাসপাতালে যাইনি। তবে ওই প্রসূতি ও তাঁর সন্তান দু’জনেই এখন সুস্থ।” |