আগেকার বডি অনেক ভাল ছিল। এখন সব দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই কালো হতে শুরু করে। ডাক্তাররা আসলে পেশেন্টের ওপর একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট চালায়। এ ওষুধ না হলে সে ওষুধ। সেই ঝক্কি এসে পড়ে আমার ওপর।’ মধ্য কলকাতার গলিতে মাঝরাত্তিরের ঝামেলায় ক্লান্ত ফ্লোরেন্স মেদিরা একনাগাড়ে বকে চলেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সমুদ্রে অক্ষশক্তির দাপট। তাই বর্মা মুলুক থেকে ব্রিটিশদের খেদিয়ে ব্যাংকক থেকে রেঙ্গুন পর্যন্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রেললাইন পাতার কাজ শুরু করল জাপ সেনা। উদ্দেশ্য, ভারতের ঢোকার আগে বর্মা ফ্রন্টে নিজেদের পোজিশন আরও জোরদার করা। নদী, পাহাড় আর ঘন জঙ্গলে ঢাকা এলাকায় তৈরি এই রেলপথ খাতায়-কলমে বর্মা রেলওয়ে হলেও, সেই সময়ের লোকজনের কাছে ‘ডেথ রেলওয়ে’ বা ‘মৃত্যুর রেল’ নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৪২-এর জুন-এ এক লক্ষ আশি হাজার এশীয় মজুর আর নব্বই হাজার যুদ্ধবন্দিকে কাজে লাগায় জাপানিরা। জাপানি অত্যাচার আর দুর্গম এলাকার সৌজন্যে এক বছরের মধ্যে মারা যান নব্বই হাজার এশীয় মজুর আর ষোলো হাজার যুদ্ধবন্দি। যাঁদের মধ্যে শুধু ব্রিটিশ সেনাই ছিলেন ছ’হাজার। এ ছাড়া ওলন্দাজ, মার্কিন আর অস্ট্রেলীয় সেনার সংখ্যাও কম ছিল না। নিজেদের চরম দুর্দশার ছবি চুল আর রক্ত দিয়ে টয়লেট পেপারে এঁকে রাখতেন যুদ্ধবন্দিরা। রেললাইনের ধারেই কোনও রকমে কফিনবন্দি করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হত মৃতদেহ। কিন্তু এই চরম দুর্দশা আর মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেও, অক্লান্ত পরিশ্রমী পর্তুগিজ যুবক ভিভিয়ানকে যুদ্ধের পরও ভুলে যাননি ধর্মভীরু ইউরোপীয় যুদ্ধবন্দিরা। কোনও রকমে বেঁচে যাওয়া সেনাদের সুপারিশেই ভিভিয়ান প্যাট্রিক মেদিরাকে চার বছর পর ১৯৪৬ সালে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করে ‘দি আমেরিকান ন্যাশনাল রেড ক্রস’। রেললাইন পাতার সময় কেউ মারা গেলে কফিন বানিয়ে বডি ঢুকিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া ছিল ভিভিয়ানের কাজ। পোশাকি নাম: ‘আন্ডারটেকার’। |
মৃতপ্রায় শহরের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পাড়ার এঁদো গলিতে বুড়ো বটের পাশে, শ্যাওলা ধরা ইটের, হাড়-জিরজিরে, অশুভ সংখ্যার বাড়ি। ১৩ বো স্ট্রিট, কলকাতা ১২। পর্তুগাল থেকে গোয়া হয়ে কলকাতায় আসার গল্প তিনশো বছরে ফিকে হতে হতে মুছে সাফ। এক এক করে পাততাড়ি গুটিয়ে কানাডা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার দিকে পাড়ি দিয়েছে প্রায় সবাই। টিমটিম করে জ্বলছে শুধু মেদিরা পরিবার। ১৮১৮ সালে জো আর চার্লস, এই দুই ভাইয়ের হাত ধরে কলকাতার বুকে প্রথম খাতা খোলে জে মেদিরা অ্যান্ড কোম্পানি, দ্য আন্ডারটেকার্স। সেই শুরু। তার পর থেকে সমানে চলছে ডেডবডির সঙ্গে ঘর করার ট্র্যাডিশন। এখন অবশ্য নাম পালটে সেই দোকানের নাম ‘এল মেদিরা অ্যান্ড কোম্পানি, দ্য আন্ডারটেকার্স’।
১৯৩৭ সালের ৯ মে। বউবাজার থানার ঠিক পিছনে ১ বুদ্ধিস্ট টেম্পল স্ট্রিটে (তখনকার হিসেবে অবশ্য ৯ রবার্ট স্ট্রিট) নির্বাসিত রাজপরিবারের রাজবাড়িতে মারা যান বর্মার রাজকুমারী চন্দ্রাদেবী। আর ৬ অক্টোবর চৌরঙ্গি রোড, পার্ক স্ট্রিট হয়ে লোয়ার সার্কুলার রোডে শেষ হয় রাজকুমারীর শোকমিছিল। সে মিছিলে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। কারণ, প্রায় পাঁচ মাস ধরে এক চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষী হয় শহর কলকাতা। ৯ রবার্ট স্ট্রিটে চন্দ্রাদেবীর বাবা বর্মার রাজকুমার স ইয়ান নাইং-এর বাড়িতে বিশেষ ভাবে সজ্জিত একটি মঞ্চে টানা ১৫১ দিন শায়িত ছিল রাজকুমারীর মৃতদেহ। হুজুগে কলকাতাবাসীর পাশাপাশি প্রতি দিন রাজকুমারীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসতেন বর্মা থেকে আসা রাজভক্তেরা। সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও আগে। কল্পকাহিনিতেও সেই কলকাতা শহরে রেফ্রিজারেটরের কোনও উল্লেখ নেই। অথচ সৎকারের আগে পচন দূরের কথা, রাজকুমারীর চোখে-মুখে ছিল না ক্লান্তির ছিটেফোঁটা। সদ্যঘুমন্ত রাজকুমারীকে দেখার পাশাপাশি ভিভিয়ান আর বেসিল নামের দুই মৃতদেহের জাদুকরকে সে দিন চিনেছিল, কুর্নিশ জানিয়েছিল বাকি কলকাতা।
শীতের রাতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের বানানো নতুন কফিনের ভেতরেই রাত কাটায় কার্তিক, নিকি, অশোক, বান্টি। মেদিরা কোম্পানির কর্মীর দল। মাঝরাত্তিরেই কফিনের বাক্সের ওপর বোর্ড ফিট করে বেপরোয়া ক্যারমের আড্ডা। মদের ঠেক। পাশের রেফ্রিজারেটর থেকে আসা টানা ঘটাং ঘটাং আওয়াজ। ভেতরে প্রিয়জনের বিদেশবিভুঁই থেকে আসার অপেক্ষায় ঘুমিয়ে থাকে ডেডবডি। মালকিনের নির্দেশে মাঝেমধ্যে ডালা খুলে ডেডবডিতে মাখিয়ে দিতে হয় গোপন রাসায়নিক মলম। এতে বডি হয়ে ওঠে আরও সজীব, আরও তাজা। দূরদেশ থেকে আসা প্রিয়জনের মনে হবে সদ্য ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন মৃত মানুষটি। কাজের ফাঁকেই কফিনের ওপর বসে থাকা বান্টিদের চিৎকার আরও জোরালো হয়। নিভে যাওয়া জনতা স্টোভে ঠান্ডা হয় লিকার চা। আলো-আঁধারি ঘরের এ দিকে ও দিকে ঝুলতে থাকা ক্রুশের ছায়া দীর্ঘতর হয়। আরও গভীর হয় রাত। ভোররাতে থানার পেছনের বুদ্ধমন্দির থেকে ভেসে আসে চামড়ার বাদ্যযন্ত্রের দ্রিম...দ্রিম..., কপালিটোলার মন্দিরে শুরু হয় পুজো, একযোগে শুরু হয় ফজরের নামাজ। বয়স বাড়ে কলকাতার।
কলকাতাতেই থাকতেন ‘ফাদার টেরিজা’। মানে, অনায়াসেই যাঁকে এই নামে ডাকা যায়! লিয়ো জোসেফ মেদিরা। এ শহরের কয়েক প্রজন্মের মিসিং লিংক। বর্মা মুলুকের নামকরা আন্ডারটেকার ভিভিয়ান মেদিরার আপন ছেলে। কাকা বেসিলকে সঙ্গে নিয়ে আন্ডারটেকিং তো বটেই, বাঁচিয়ে রেখেছেন শহরের ক্ষীণকায় পর্তুগিজ ধারা। সময়ের কাছে হেরে গিয়ে চোখের সামনে ঝাঁপ বন্ধ করেছে একের পর এক প্রতিষ্ঠিত আন্ডারটেকিং সংস্থা। পিস ওয়ারিয়র্স, লরেন্স, ব্রাউন, ফিউনারেল পার্লার, এমনকী শহরের একমাত্র চিনা আন্ডারটেকিং সংস্থা ‘ইয়েত মিং’। ইংরেজরা দেশ ছাড়ার পর থেকেই সংখ্যালঘু হওয়ার বোধ, আতঙ্কে পরিণত হতে খুব দেরি হয়নি। এখান থেকেই লড়াইটা শুরু করেছিলেন লিয়ো মেদিরা। সব ফ্রন্টেই। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান ও চিনাদের নিজের মর্গে ঠাঁই দিয়ে শহরের খ্রিস্টান পাদ্রিদের কাছে ধর্মচ্যুত হয়েছেন। শাস্তি হিসেবে খ্রিস্টান সমাধিক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারও খুইয়েছিলেন। পরের দিনই আবার অনুরোধ ফেলতে না পেরে নিজের মর্গে একটি খ্রিস্টান মৃতদেহ সংরক্ষিত করে কলারটা একটু উঁচু করে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন লিয়ো।
অদ্ভুত কারণে শহরের অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের নাম ক’দিন আগে পর্যন্ত ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছিল না। প্রতিবাদে লিয়ো মেদিরার নেতৃত্বে ২০০৯ লোকসভা নির্বাচন বয়কট করেছিল বো ব্যারাকের অ্যাংলো পাড়া। লড়াই আর আন্ডারটেকিং ছাড়াও এক অন্য জীবন ছিল লিয়ো জোসেফের। শহরে ঐতিহ্যমণ্ডিত ‘ক্যালকাটা আসিল ক্লাব’-এ টানা তিন বছর চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পেয়েছিল লিয়ো মেদিরার নিজের হাতে তৈরি লড়াইয়ের মোরগ। কাকার হাতে ব্যবসা ছেড়ে বয়লার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জাহাজেও কাটিয়েছেন দীর্ঘ দিন। আবার শহরের প্রভাবশালী মহলের ভিন্টেজ কার র্যালি-তে স্যর বীরেন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকে নিয়মিত দেখা যেত। ‘হিপি আমল’-এ ইউরোপীয় নায়িকাদের সঙ্গে আকছার মেলামেশার গল্পও শোনা যায় বো ব্যারাকে কান পাতলেই। ২০১২-র ডিসেম্বরে মারা যান লিয়ো। যাওয়ার আগে অবশ্য পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারা বাঁচিয়ে রাখতে একটা ছোটখাটো সৈন্যবাহিনী তৈরি করে গিয়েছেন। লিয়ো কলকাতা শহরের সেই বিরল প্রজন্মের মানুষ, যেখানে একটা জীবন অনেকগুলো গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ‘পোস্টমর্টেম করা পচা-গলা দেহ নিয়ে আসুন, আমি তিন-চার রকম রাসায়নিক দিয়ে ধুয়ে-মুছে সেলোফেন ব্যাগে ভরে এমন ভাবে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেব, দেখে মনে হবে ঘুমিয়ে আছে। আমি আড়াই মাস পর্যন্ত মৃতদেহ রেখেছি, তিন মাস পর্যন্তও রাখতে পারব। তেমন অবস্থা হলে মৃতের বাড়িতে গিয়েও আমরা বডি প্রিজার্ভ করে দিয়ে চলে আসব। কোনও ডিপ ফ্রিজের দরকার নেই। এটাই আমাদের রাসায়নিকের জাদু।’ চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ফ্লোরেন্স মেদিরা।
মৃতদেহ সংরক্ষণ প্রাচীন এক দস্তুর। দেশে দেশে কালে কালে এর বিজ্ঞান নিয়ে মানুষ মাথা ঘামিয়েছে। চিন, মিশর, দক্ষিণ আমেরিকা, সর্বত্রই মৃতদেহ সংরক্ষণের উদাহরণ আছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি সেই ধারায় নয়া জোয়ার এনেছে। যদিও মেদিরা পরিবারের তুরুপের তাস পারিবারিক সেই প্রাচীন পদ্ধতিই। লিয়ো মেদিরার লেখা থেকে জানা যায়, মৃতদেহ সংরক্ষণ বা ‘এম্বাম’ (embalm) করার ক্ষেত্রে তাঁদের পদ্ধতি মিশরীয় পদ্ধতির সঙ্গে অনেকটাই মেলে। যদিও রাসায়নিক কী ভাবে বানানো হয়, বা কী ভাবে ব্যবহার করা হয়, তা অত্যন্ত গোপন। মেদিরা পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কারও এই ফর্মুলা জানার অধিকার নেই। এখনও পর্যন্ত যে নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বাজার চলতি কোনও ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে না মেদিরা পরিবার। যে কারণে মৃতদেহ বহু দিন পর্যন্ত অবিকৃত থাকে। মৃতদেহ আসার পরে বেশ কিছু ক্ষণ মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি বুঝে নেন ফ্লোরেন্স। তার পর প্রয়োজন মতো ইঞ্জেকশন দিয়ে, মলম মাখিয়ে শুরু করেন এম্বাম করার কাজ। ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় শরীরের নরম জায়গায়, যেমন নাভি, ঘাড়, হাত, উরু। এর পর অবস্থা বুঝে ডিপ ফ্রিজে চালান করা হয় বডি। দূরদেশ থেকে প্রিয়জনের আসার অপেক্ষায় হিমঘরে বেঁচে থাকে তরতাজা মৃতদেহ। কলকাতার ঘুম ভাঙার আগেই দল বেঁধে বেরোল লিয়ো ব্রিগেড। সঙ্গে কোদাল, বেলচা, কুড়ুল আর কলসি। দিনের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই অপারেশন শুরু। মল্লিকবাজার কবরখানায় মাটির তিন-চার ফুট ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে ক্ষয়ে যাওয়া কফিনের টুকরো আর ছেঁড়াখোঁড়া জামাকাপড়। সঙ্গে বহু দিন আগে কলকাতায় কাটিয়ে যাওয়া কোনও মানুষের থেকে যাওয়া হাড়ের টুকরো। নিপুণ হাত বাকি সব ফেলে কলসিতে ভরে ফেলে হাড়গুঁড়ো। বেলা শেষের আগেই বো স্ট্রিটের বাসায় ফেরে ক্লান্ত শ্রমিকের দল। রংবেরঙের মানুষগুলোর শহর ছাড়ার হিড়িক অনেক দিনের। তবে থেকে যায় নিজের অতীত, আগের প্রজন্মের হিসেব-নিকেশ, কয়েক প্রজন্মের হাড়গুঁড়ো। ইচ্ছে হয়, শ্যাওলা ধরা, স্যাঁতসেঁতে কবরখানায় অযত্নে পড়ে থাকা মানুষটাকে একটু কাছে পাওয়ার। তাই হাড় ফেরতের তলব আসে মেদিরার বাড়িতে। কর্পোরেশন, চার্চ আর পুলিশের পারমিশন পেলেই শুরু হয় মেদিরার কাজ। পোশাকি নাম ‘একশু্যমিং’ (exhuming)। কবর থেকে হাড়ের টুকরো সংগ্রহ করে দূরদেশে বেঁচে থাকা আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। সেখানে মৃত্যুর পরও মিলবে নিয়মিত যত্ন, ভালবাসা, পরিচর্যা। উড়োজাহাজে দেশান্তর হয় একটা কলসি আর কিছু হাড়গোড়ের। লেনার্ড মেদিরা। লিয়ো আর ফ্লোরেন্স মেদিরার আপন ছেলে। শহর কলকাতার এক অদ্ভুত ধারার নবম প্রজন্মের প্রতিনিধি। সাত বছরের এই বালকের মধ্যে বেঁচে আছে ৩০০ বছরের কলকাতা, ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া আরও পুরনো এক ট্র্যাডিশন। শেষ কয়েক প্রজন্মের বংশতালিকা ঘাঁটলে দেখা যায়, পর্তুগিজ ছাড়াও গ্রিক, ইহুদি, চিনা, বাঙালি আর দক্ষিণ আফ্রিকার স্রোত মিশেছে এই ছেলের রক্তে। ঠিক যে ভাবে চারশো বছর আগে হুগলির পাড়ে এসে ভিড়েছিল সারা পৃথিবী থেকে আসা নৌকোর জল। সময়ের সঙ্গে জল কমেছে হুগলির। সমুদ্রের ঘোলা জল প্রতি দিনই কলকাতা ছাড়িয়ে আরও উপরে উঠছে। নোনা হাওয়ায় ক্ষত বাড়ছে শহরের দেওয়ালে। তবু বর্ষা এলে এখনও ফসলের খোঁজে লোনা নদীর জলে ঢুঁ মারে জেলে-নৌকো। ডেডবডি হয়েও জাদু রাসায়নিকের খোঁজে বাঁচতে চাইছে চার্নকের শহর। লুকনো অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে চোখ খুলছেন লেনার্ড মেদিরা। |