|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
টুনটুনির জীবন কথা |
আমাদের বারান্দার কাপড় মেলার তারে বেশ কয়েক বছর ধরে দুটো টুনটুনি বাসা বানায়, তাতে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা বড় হয়ে গেলে বাসা ছেড়ে চলে যায়। বাসাটা এতই ছোট বানায় যে দু’জনে একসঙ্গে থাকতে পারে না। তবে সকাল হলেই খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে দু’জনে এবং সন্ধেবেলা যখন এক জন অপরজনকে বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসে, তখন একটা পাখি বাসায় ঢুকে ঠোঁট বের করে চেয়ে থাকে। আর অপরটি একটু দূরে তারে বসে অন্যটির দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তার পর কোথায় যে চলে যায় জানি না। বাচ্চা যখন একটু বড় হয়, তখন দু’জনে মিলেই বাচ্চাদের খাওয়ায়, আর পালা করে দু’জনে বাসা পাহারা দেয়। ওরা যখন বাচ্চা নিয়ে আমাদের বারান্দায় খালি বাসা ফেলে রেখে চলে যায়, তখন আমার আর মা’র খুবই মন খারাপ হয়, তবে দুঃখ ভোলাতে কিছু দিন পর ওরা আবার আমাদের বারান্দায় নতুন করে বাসা বানায়।
তুষা কুণ্ডু। তৃতীয় শ্রেণি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল, পুরুলিয়া |
|
|
মজার বেজি |
বাড়ির সামনে একটি ফাঁকা জমি পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। ফলে অনেক ঝোপ-জঙ্গলও মাথাচাড়া দিয়েছে। সেখানে আমরা প্রায়ই বেজি দেখি। বেজিগুলো বেশ মজার। মাঝে মাঝে দেখি বেজিগুলো অন্য মাঠে গিয়ে খেলা করে। কিছু দিন পরে দেখলাম, মা-বেজির সঙ্গে দু’টি ছোট্ট বেজি তার আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোট্ট বেজিগুলোকে দেখেছি তারা একটি সাজানো উঁচু ইটের উপর দুই হাত তুলে নাচছিল। আবার দেখি তারা কী যেন খুঁটে খুঁটে খায়। বাবা বলেছিলেন, ওরা পিঁপড়ের ডিম, মাছের কাঁটা, পোকামাকড় ইত্যাদি খায়। ওদের চোখগুলি লাল পুঁতির মতো দেখতে। ওদের নখ এবং দাঁতও খুব ধারাল। ওরা সাপের সঙ্গে লড়াই করার সময় লোমগুলো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নেয়, তাই বেজিরা বেশির ভাগ সময় জিতে যায়।
অন্বেষা দাস। ষষ্ঠ শ্রেণি, বালি বঙ্গশিশু বালিকা বিদ্যালয়, হাওড়া |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|