ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বড় মাপের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নিউ ইন্ডিয়া অ্যাশিওরেন্স। এর জন্য এজেন্ট সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে সংস্থা। যাতে সেই সব সংস্থার কর্মীরা নিউ ইন্ডিয়া থেকে স্বাস্থ্যবিমা-সহ বিভিন্ন ধরনের সাধারণ বিমা প্রকল্প সুবিধাজনক শর্তে কিনতে পারেন। সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিজের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি সই করেছে নিউ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি কলকাতায় নিউ ইন্ডিয়ার সিএমডি জি শ্রীনিবাসন জানান, “চলতি ২০১৩-’১৪ সালে ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি। গত বছর যা ছিল ১২,৫০০ কোটি। ব্যবসা বাড়াতে খুচরো গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর উপরেই জোর দেব।” এ রাজ্য থেকে চলতি অর্থবর্ষে ৪০০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা তাঁরা ঠিক করেছেন বলে জানান শ্রীনিবাসন। তাঁর দাবি, দেশে সাধারণ বিমা বাজারের ১৫.৫% তাঁদের দখলে। ২০১৫-র মার্চ মাসের মধ্যে এজেন্ট সংখ্যা দ্বিগুণ করে ১ লক্ষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থা। চলতি অর্থবর্ষে সারা দেশে ৪০০টি ছোট অফিসও চালু করা হবে। এর মধ্যে ৩৪টি পশ্চিমবঙ্গে। ব্যাঙ্কিং করেসপন্ডেন্টদের মাধ্যমে সাধারণ বিমা বিপণনের ব্যাপারেও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে।
|
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কবলে যাতে সাধারণ মানুষ না-পড়েন, তার জন্য আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে প্রাথমিক সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করছে ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থা ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস। এ কথা জানান সংস্থার এমডি ও সিইও কুলদীপ মাইতি। তিনি বলেন, “আমরা প্রধানত মহিলাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্যই কাজ করি। তাঁদের মধ্যে এই সচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে সংসারের সদস্যদের ওই ধরনের সংস্থায় টাকা জমানো বন্ধ করায় তাঁরা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবেন। ২০১৩-’১৪ সালে ১০ হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি।” এ বার উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ঝাড়খণ্ডেও পরিষেবা সম্প্রসারণ করছে সংস্থা। এত দিন তারা পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারে ব্যবসা করত। |