কেট-উইলিয়ামের রূপকথাতেও ছিল বিচ্ছেদের সুর
ছেলে হবে না মেয়ে! জল্পনার শেষ ছিল না। এমনকী সে নিয়ে চলেছে জুয়াও। দেশ জুড়ে বিদেশি সাংবাদিকদের উপচে পড়া ভিড়। শুধু ব্রিটেনই নয়, গোটা বিশ্ব মজেছিল উইলিয়াম-কেটের রাজকাহিনিতে। কিন্তু এ সবই সাম্প্রতিক কালের কয়েক টুকরো ছবি। কয়েকটা বছর পিছন ফিরে তাকালেই ছবিটা অন্য রকম। সে দৃশ্য ভাঙনের!
সালটা ২০০৮। মার্চ মাস। ভেঙে যাওয়ার মুখে রাজকুমার উইলিয়াম ও কেটের সম্পর্ক। রূপকথার গল্পে হঠাৎই ছন্দপতন। সংবাদমাধ্যমেরও সে নিয়ে উৎসাহের খামতি নেই।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে সর্বসমক্ষে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল রাজকুমার উইলিয়াম ও তাঁর বান্ধবী কেট মিডলটনকে। খবর ছড়াতে সময় লাগেনি। কিন্তু সেই খবরকে মিথ্যে করার জন্যই যেন পরের বছরে বদলে যায় দৃশ্যটা। রাজকুমারকে দেখা গেল সাধারণের উপস্থিতি অগ্রাহ্য করেই দিনের পর দিন নাইট ক্লাবে পার্টি করতে। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন একাধিক স্বল্পবসনা নারী। নেই শুধু কেট।
অবধারিত ভাবে শুরু হয়েছিল তুলনাও অবশ্যই রাজকুমারের বাবার সঙ্গে। এ ভাবেই এক সময় প্রেমিকা ক্যামিলা পার্কারকে উপেক্ষা করে ডায়ানার প্রেমে পড়েছিলেন চার্লস। জল্পনা শুরু হয়েছিল ক্যামিলার মতোই কি উইলিয়ামের জীবন থেকে হারিয়ে যাবেন কেট?
জর্জকে নিয়ে কেট-উইলিয়াম।—ফাইল চিত্র।
কেট তখন নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছেন কাজের জগতে। যোগাযোগ নেই উইলিয়ামের সঙ্গে। আর রাজকুমার মেতে বন্ধুবান্ধব, পোলো ম্যাচ আর রাজপুত্রসুলভ কাজকর্ম নিয়ে। এ ভাবেই কেটে গেল একটা বছর। হঠাৎই ২০০৯ সালের মে মাসে ‘ড্রাগন বোট রেসিং’-এ অংশ নিয়ে কেট তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। এর পর বারবারই নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে আসতে থাকেন কেট। তবে একাই। সম্পর্কে ভাঙন ধরার মুখেও কেটের
ব্যবহারে ছিল না কোনও অসঙ্গতি। বরং আরও বেশি করে আলোচনা-সমালোচনা। মাঝেমধ্যেই চলে আসা সংবাদপত্রের শিরোনামে। কখনও চর্চায় তাঁর পোশাক-আশাক, কখনও বা আচার-ব্যবহার। তবে কিছু দিন এ ভাবে কাটানোর পর হয়তো হাঁফিয়ে উঠেছিলেন দু’জনেই। না হলে কেনই বা সে বছর জুন মাসে ফের পার্টিতে দেখা গেল যুগলে? একসঙ্গে হাতে-হাত রেখে।
এর এক মাস পরে জুলাই মাসের ৭ তারিখে ডায়ানার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাজপরিবারের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠান চলার সময় উইলিয়াম ও কেট আলাদা জায়গায় বসলেও, অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের দেখা যায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায়। সম্পর্কের ক্ষত সেরে গিয়ে তাঁরা যে আবার এক সঙ্গে, সে বারই নিশ্চিত হয়ে যায় সংবাদমাধ্যম।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত মহাসাগরে ছবির মতো সুন্দর দ্বীপ সেসেলস-এর একটি বিলাসবহুল রিসর্টে ছুটি কাটান উইলিয়াম-কেট। গোপনীয়তা রক্ষা করতে চেষ্টার অন্ত ছিল না। তাই রিসর্টের খাতায় তাঁদের নাম ছিল মার্টিন ও রোজমেরি মিডলটন। এর পর আর বেশি অপেক্ষা করাননি তাঁরা। সে বছরই শেষের দিকে বাকিংহাম ঘোষণা করল বিয়ের খবর।
সেই দিনগুলো নিয়ে এখনও কোনও রাখঢাক নেই রাজবধূর। সাবলীল ভাবে বলেছেন, “তখন খুব যে ভাল ছিলাম তা নয়, কিন্তু ওই দিনগুলো আমায় মানসিক ভাবে অনেক শক্ত করেছিল। ...ওই সময়টা আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান। যদিও তখন এ ভাবে ভাবতাম না।”
উইলিয়াম অবশ্য খানিক সাবধানী। সম্প্রতি বলেন, “আমাদের দু’জনের বয়সই তখন কম ছিল। ব্যস্ত ছিলাম নিজেদের ব্যক্তিগত কাজকর্ম নিয়ে। সম্পর্কটাকে মজবুত করার জন্য ওই ক’দিনের ব্যবধানটা জরুরি ছিল।”
তার পর বাকিটা তো রূপকথাই। ভাঙনের মুখ থেকে ফিরে এসে বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত দম্পতি হয়ে ওঠার মাঝখানের সময়ে যা যা অযাচিত ঘটে গিয়েছে, তাকে আবছা করে দিয়েছে একরত্তি শিশু জর্জ। আবছাই থাক সে সব!



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.