মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মারা যাওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মেয়ের মৃতদেহ তোলা হল। শনিবার বুদবুদের ঘটনা। পুলিশ মৃতার স্বামী ইসলাম আনসারিকে গ্রেফতার করেছে।
বর্ধমানের হাঁটুদেওয়ান পীরতলার বাসিন্দা নইমা বিবি জানান, তাঁর মেয়ে বালা বিবির সঙ্গে বুদবুদের আজাদপল্লীর বাসিন্দা ইসলাম আনসারির বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে। তাঁদের তিনটি সন্তান আছে। নইমা বিবি আরও জানান, এই বছরের ১৯ মার্চ দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ তাঁর জামাই ইসলাম ফোনে জানায়, বালা নার্সিংহোমে ভর্তি। পরে তিনি জানতে পারেন কোনও রোগে তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে।
নইমা বিবির দাবি, ঘটনার চার দিন পরে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর মেয়েকে খুন করেছেন ইসলাম আনসারি। তিনি বলেন, “সেই সময় আমি অভিযোগ করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে অভিযোগ করতে বারণ করেন।” নইমা বিবি আরও জানান, তাঁর মেয়ের বড় ছেলের কাছে তিনি জানতে পারেন যে বালাকে ইসলামই খুন করেছে। এর পর তিনি বর্ধমান আদালতের দ্বারস্থ হন। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে শনিবার দুর্গাপুরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, গলসী ১ নম্বরের বিডিও, সিআই, বুদবুদ থানার ওসির সামনে বালা বিবির মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। মৃতদেহ ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |