|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
পদ্মপুরাণে চাঁদ সদাগর |
বইপোকা |
‘অপু বাড়ি হইতে আসিবার সময় বার-বার বলিয়া দিয়াছে— তাহার জন্য একখানা ‘পদ্মপুরাণ’ কিনিয়া লইয়া যাইবার জন্য।’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আম আঁটির ভেঁপু-র লাইন। গ্রন্থটির অনুবাদ (মেকিং আ ম্যাঙ্গো হুইসল, অনুবাদ রিমলি ভট্টাচার্য, পাফিন ক্লাসিকস)-এর পরিশিষ্টে গ্লসারি লিখিল, ‘পদ্ম পুরাণ: ওয়ান অব এইট্টিন পুরাণস (অর ওল্ড ন্যারেটিভস), রিলেটস দ্য স্টোরি অব চাঁদ সদাগর অ্যান্ড হিজ কনফ্রন্টেশন উইথ দ্য স্নেক গডেস মনসা; শিভা অলসো হ্যাজ অ্যান ইম্পর্ট্যান্ট রোল। লং ভয়েজেস অ্যান্ড মেনি ইন্টারেস্টিং প্লেসেস আর অলসো ডেস্ক্রাইবড ইন দিস পুরাণ।’ অষ্টাদশ পুরাণের একটি পদ্মপুরাণ-এ চাঁদ সদাগরের সহিত মনসার দ্বন্দ্বের গল্প নাই, সে গল্প মনসামঙ্গলের, যাহার অপর নাম ‘পদ্মাপুরাণ’। এমনকী, আশুতোষ ভট্টাচার্য তাঁহার বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস-এ লিখিতেছেন, ‘সংস্কৃত পুরাণগুলি অগণিত লৌকিক কাহিনীতে পূর্ণ হইলেও কোনও সংস্কৃত পুরাণেই মনসামঙ্গলের অনুরূপ কোনও কাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার লাভ করা যায় না।’ অবশ্য, অপু যে আসলে পদ্মাপুরাণ আনিতে বলিয়াছিল তাহা সামান্য কাণ্ডজ্ঞান থাকিলেই বুঝা যায়। দুর্ভাগ্য, সম্পাদনায় ওই জ্ঞানটি নাই। থাকিলে বুঝা যাইত, অষ্টাদশ পুরাণের একটি পড়িবার ইচ্ছা অপুর হইবার কথাই নহে, সে গল্পের ক্ষুধা মিটাইতে পদ্মাপুরাণই পড়িতে চাহিবে। উপন্যাসে আছে, ‘অপুর ‘পদ্মপুরাণ’ অনেক সন্ধান করিয়াও মিলিল না, অবশেষে (হরিহর) একখানা ‘সচিত্র চণ্ডী-মাহাত্ম্য বা কালকেতুর উপাখ্যান’ ছয় আনা মূল্যে কিনিয়া লইল’। চণ্ডী-কালকেতু অবশ্য গ্লসারিতে নাই। ভাগ্যিস! থাকিলে শিশুমনে ভ্রান্তির চাপ বাড়িতে পারিত। |
|
|
|
|
|