|
|
|
|
তৃণমূল আমলেই সাঁওতালির প্রকৃত স্বীকৃতি: শুভেন্দু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই জঙ্গলমহলে সাঁওতালি ভাষা প্রকৃত স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি শুভেন্দু। সেখানেই তিনি বলেন, “২০০৩ সালে সাংবিধানিক স্বীকৃতি মিললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই এ রাজ্যে সাঁওতালি ভাষাকে প্রকৃত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। দেড় হাজার পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩৯৫জন সাঁওতালি পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এটাই সাঁওতালি ভাষার প্রকৃত স্বীকৃতি।” |
|
ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
এ দিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্রপার্ক সংলগ্ন মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেছিল সর্বভারতীয় আদিবাসী ছাত্র সংগঠন ‘ভারত জাকাত সান্তাড় পাঠুয়া গাঁওতা’। সেখানে কুর্মি (মাহাতো) সম্প্রদায়ের ‘কুর্মালি’ ভাষার স্বীকৃতির দাবিও জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায় উঠে আসে পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের বিপুল জয়ের প্রসঙ্গও। শুভেন্দু বলেন, “জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তি চান বলেই পঞ্চায়েত ভোটে ৯০%-এর কাছাকাছি ভোট পড়েছে। বান্দোয়ান থেকে বেলপাহাড়ি রাত জেগে মানুষ ভোট দিয়েছেন। চোখের মণির মতো শান্তিকে রক্ষা করে উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, আয়োজক ছাত্র সংগঠনের শহর সভাপতি গোপাল মুর্মু প্রমুখ। আদিবাসী ছাত্র সংগঠনটির তরফে মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার মাধ্যমে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৬ দফা দাবিপত্র পাঠানো হয়। দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাকে পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা, পৃথক আদিবাসী উন্নয়ন দফতর ও পূর্ণাঙ্গ আদিবাসী মন্ত্রী পদ তৈরি, সাঁওতালি এডুকেশন বোর্ড গঠন, প্রতিটি থানায় আদিবাসী অফিসার রাখা ইত্যাদি। পশ্চিমাঞ্চলের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনে পৃথক ‘জোন’, সাঁওতালদের সামাজিক ব্যবস্থার সরকারি স্বীকৃতি, সাঁওতাল সমাজের মোড়লদের মাসিক ভাতা প্রদানের দাবিও জানানো হয়। |
|
|
|
|
|