১৯৫৩’য় নিউজিল্যান্ডের হিলারির নেতৃত্বে এক অভিযাত্রী দল এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করতে আসেন। তখন দার্জিলিঙে এক জন বাঙালি চা বাগানের মালিক ছিলেন। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ মিত্র (ছবি)। সজ্জন ধার্মিক মানুষ। দার্জিলিঙের শেরপা বস্তিতে গিয়ে তাদের সুখদুঃখের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিলেন এবং শেরপাদের বিপদে আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই জন্য শেরপারা তাঁকে দেবতাজ্ঞানে সম্মান করত। তিনি এখনও জীবিত। শিলিগুড়ির সেবক রোড সেকেন্ড মাইলে তাঁর বাড়ি। বয়স ৯৫ বছরের উপর। |
তাঁর কাছে শোনা আর একটি তথ্য জানাই। যে দিন শেরপারা দার্জিলিং থেকে এভারেস্ট অভিযানে যাত্রা শুরু করেন, সে দিন সকালে রবীনবাবু ভারতের জাতীয় পতাকা একটা ছোট লাঠিতে জড়িয়ে তেনজিংকে দিয়ে বলেছিলেন, “তুমি এই জাতীয় পতাকাটা জামার মধ্যে লুকিয়ে রেখে দেবে, কাউকে কিছু জানাবে না। মূল শৃঙ্গে ওঠার পর তোমার প্রথম কাজ হবে জামার মধ্য থেকে পতাকাটা বের করে উঁচু করে তুলে ধরা, যাতে ক্যামেরায় যে ছবি তোলা হবে, তাতে ভারতের জাতীয় পতাকার ছবিও উঠে যায়। তুমিও যে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলে, ওই ছবিটাই হবে তার প্রমাণ। ফলে, ভবিষ্যতে হিলারিরা অস্বীকার করতে পারবে না যে, তুমিও এক জন শৃঙ্গজয়ী।” ১৯৯৮ সালে রবীনবাবু কলকাতায় (উনি প্রতি বৎসর কলকাতায় আসতেন) এই কাহিনিটি বলেছিলেন।
সত্যেন শেঠ। কলকাতা-৬ |