জোর করে বনধ নয়, রায় কলকাতা হাইকোর্টের |
পাহাড়ে জোর করে বনধ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। পাহাড়ে বনধ করা নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল সেই মামলার শুনানিতে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তাঁরা রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু নির্দেশও দেন। সেগুলি হলঃ
• জোর করে বনধ করা যাবে না। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
• জরুরি পরিষেবা যেমন, হাসপাতাল, জল বণ্টন, বিদ্যুত্ বণ্টন, দুধ, টেলিফোন, আদালত, খবরের কাগজ ইত্যাদি যেন স্বাভাবিক থাকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
• রেল বা সড়ক পথ অবরোধ হলে তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
• স্কুল, কলেজ, বাজার, ব্যাঙ্ক, ওষুধের দোকান খোলা রেখে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
• সরকারি সম্পত্তি নষ্টের চেষ্টা হলে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্য দিকে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত কাল দার্জিলিঙে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সরকারি স্তরে কিছু বৈঠক করতে তিনি এসপি ও জেলাশাসকের দফতরে যান। তবে, রাস্তার মধ্যে তাঁর কনভয় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় কয়েক হাজার মোর্চা সমর্থক। পুলিশ সুপারের অফিস থেকে হেঁটেই জেলাশাসকের দফতরে যেতে হয় তাঁকে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দার্জিলিঙে এই বৈঠকগুলি সেরে আজ বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছবেন তিনি। সেখানেও জরুরি কিছু বৈঠক করে আগামী কাল কলকাতা ফিরে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন। মহাকরণ সূত্রে খবর, যত ক্ষণ মোর্চা বনধ প্রত্যাহার না করছে, তত ক্ষণ কোনও আলোচনায় যাবে না রাজ্য। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে গ্রেফতার ও ধরপাকড় জারি থাকবে। যদি মোর্চা আলোচনার প্রস্তাব দেয় তবেই রাজ্য আলোচনার চিন্তাভাবনা করবে।
|
‘পাকিস্তানকে ক্লিনচিট’, কাশ্মীরে হামলা নিয়ে উত্তাল সংসদ |
গত কাল পাকিস্তানি সেনার হামলায় পাঁচ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল হল সংসদের উভয় কক্ষ। বিজেপির পরিষদীয় দলনেত্রী সুষমা স্বারজ লোকসভায় অভিযোগ করেন, গত কালের ঘটনা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে প্রেস বিবৃতি দিয়েছিল তার সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একে অ্যান্টনির বক্তব্যের মিল নেই। উপরন্তু তিনি পাকিস্তানি সেনাকে রীতিমতো ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছেন বলে সুষমা অভিযোগ করেছেন। এর পরই উত্তপ্ত বাদানুবাদে লোকসভা উত্তাল হয়। রাজ্যসভাতেও এর জেরে তীব্র তর্কবিতর্ক হয়। দুই কক্ষের অধিবেশনই মুলতুবি করে দেওয়া হয় দুপুর ২টো পর্যন্ত। সুষমা আরও দাবি করেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অবিলম্বে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপি-র আর এক নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, একই দিনে মন্ত্রী ও মন্ত্রকের দু’ রকম বক্তব্যের ‘নিদর্শন’ এর আগে পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা মনীষ তিওয়ারির বক্তব্য, ‘মন্ত্রী ও মন্ত্রককে আলাদা করার চেষ্টা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়।’
|
‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আক্রান্ত’, সংসদে ধর্নায় বামেরা |
পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আক্রান্ত হচ্ছে। ক্রমাগত হামলার মুখে পড়ছেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগে ও পরে অনেক সমর্থক ও কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মূলত শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে আজ সংসদে ধর্নায় বসেছেন বাম সাংসদরা। সংসদে এই বিষয়ে আলোচনার দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মহিলাদের উপর দিন দিন বেড়ে চলা নির্যাতন নিয়ে সরব হতে দেখা গেল বাম সাংসদদের।
|