একুশ বছর বাদে আবার এক ২৫ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডে সভা করতে চলেছেন। উপলক্ষ্য ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের বিলম্বিত কর্মসূচি হলেও ওই দিনটিই তিনি ব্রিগেডে সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছেন। কারণ, ২১ বছর আগে ২৫ নভেম্বর তিনি তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন ব্রিগেডেই। প্রসঙ্গত, তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী হিসেবে মমতার উদ্যোগে সেটাই ছিল ব্রিগেডে প্রথম সমাবেশ।
এ বার প্রশাসক মমতা ব্রিগেডে পঞ্চায়েত-বিজয়ের উদ্যাপন করতেই ২৫ নভেম্বরকে বেছে নিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ওই দিন শহিদ পরিবারগুলি আমন্ত্রিত থাকবে ঠিকই। কিন্তু শহিদ দিবস নয়, ২৫ নভেম্বর ব্রিগেডে ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ পালিত হবে বলে সোমবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোট থাকায় ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস পালন একমাস পিছিয়ে ২১ অগস্ট করার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েতের বিজয় দিবসও ওইদিনই পালনের কথা ছিল। দিন পরিবর্তনের কারণ জানিয়ে পার্থবাবু বলেন, “২১ অগস্ট রাখি। ওই দিন রাজ্যের সর্বত্র রাখিবন্ধন করে সম্প্রীতি দিবস পালিত হবে। তা ছাড়া ১৪ অগস্ট থেকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তাই সমাবেশ পিছোতে হচ্ছে।” বিশাল ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ধর্মতলার বদলে ব্রিগেডেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সারার পরেই সেপ্টেম্বরে অনেকগুলি পুরসভার ভোট। সে কাজে জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীরা ব্যস্ত থাকায় কলকাতায় সমাবেশে আসতে পারবেন না। আর তার পরেই পুজো। এর পর ২২ নভেম্বর হাওড়া পুরসভার ভোট। মূলত এই সব কারণেই নভেম্বরে ব্রিগেড-সমাবেশ করবে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ও জেলা পরিষদগুলির সভাধিপতি নির্ধারণ করতে আগামী ১৬ এবং ১৭ অগস্ট টাউন হলে বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তারই মহড়া হিসাবে এ দিন তৃণমূল ভবনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে পঞ্চায়েতের ফল বিশ্লেষণ করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলর কিছু আসনে কেন ফল আশানুরূপ হয়নি, তা জেলা নেতৃত্বকে বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। |