টুকরো খবর |
সিঙ্গুরে ছাই ফেলে জমি নষ্ট, মামলা হাইকোর্টে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আবার আদালতের দ্বারস্থ সিঙ্গুর। ফের সেই জমি-সমস্যা। তবে সিঙ্গুরে টাটাদের গুটিয়ে নেওয়া প্রকল্পের জমি নয়। তারই কাছাকাছি কিছু জমি দখলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।
কুণাল গুহ রায় নামে এক ব্যক্তি সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে বলেছেন, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সিঙ্গুর থানা এলাকার কাপাসহাড়িয়া, নিজামপুর, সাহানা ও বড়াকমলাপুর গ্রামের ১১৭ একর তিন-ফসলি কৃষিজমি বিভিন্ন আবাসন সংস্থাকে বিক্রি করার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ওই কৃষিজমির চরিত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গুরের বিএলআরও-র কাছে রিপোর্ট তলব করল। কী ভাবে ওই বেআইনি কাজ চলছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে বিএলআরও-কে রিপোর্ট দিয়ে তা জানাতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৫৫ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস আইন, ১৯৮৪ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনল্যান্ড ফিশারিজ আইন এবং ১৯৬৫ সালের পরিবেশ সুরক্ষা আইনকে বুড়ো আঙু্ল দেখিয়ে ওই এলাকার জমির চরিত্র পরিবর্তন করা হচ্ছে। যে-সব কৃষক বা বর্গাদার জমি বেচতে রাজি নন, তাঁদের জমি বেচতে বাধ্য করানো হচ্ছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জমিতে। বৃষ্টিতে মাখামাখি হয়ে সেই জমি আর চাষযোগ্য থাকছে না । কৃষক শেষ পর্যন্ত সেই জমি বেচতে বাধ্য হচ্ছেন। আবেদনকারী জানান, ওই সব জমির চরিত্র পরিবর্তন এবং বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে দেখে কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি শুনে বলেছেন, ওই সব জমিতে ভাল চাষ হয় না। শুধু বোরো ধান হয়। তাই চাষিরা সেখানে আর চাষ-আবাদে উৎসাহী নন।
|
লুঠের চেষ্টা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এটিএম ভেঙে রবিবার গভীর রাতে টাকা লুঠের চেষ্টা হল বেলুড়ে। পুলিশ জানায়, স্টেশন রোডের বাসিন্দা স্বপন মান্না নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের অংশে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম রয়েছে। সোমবার সকালে কাজে যাওয়ার সময়ে তিনি দেখেন, এটিএমের কাচের দরজা খোলা। ভিতরে যন্ত্রটি ভাঙা। যন্ত্রের পিছনের ভল্টটিও ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। এটিএমের মেঝেয় রক্তের দাগ। যন্ত্রের পাশে একটি ভাঙা বাঁশ ও একটি বড় পাথর পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। |
|
স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন ঘোষ বলেন, “এলাকার মধ্যে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে।” ঘটনাস্থল থেকে পাথর, বাঁশ, রক্ত লাগা যন্ত্রাংশ ও সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। তবে দু’টি সিসিটিভির মধ্যে একটি ভাঙা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, গভীর রাতে এটিএম কাউন্টারের শাটার বন্ধ করে ভিতরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যন্ত্রের স্ক্রিনের কাচ ভেঙে ভিতরে হাত ঢুকিয়ে টাকা বার করার চেষ্টা করতে গিয়েই দুষ্কৃতীর হাত কেটে মেঝেতে রক্ত ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কের কর্মীরা জানিয়েছেন, কোনও টাকা চুরি যায়নি।
|
বাইক চুরি চক্রে জড়িত চার জন ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোটর বাইক চুরি চক্রের ৪ পাণ্ডাকে ধরল আরামবাগ থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৩টি চোরাই বাইক। পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের ওই চক্রটি হুগলি, বর্ধমান, হাওড়া ও দুই চব্বিশ পরগনায় সক্রিয়। ধৃতদের নাম শেখ রাহুল। বাড়ি পুড়শুড়ার যশারে। অভিজিত্ দাসে বাড়ি খানাকুলে। শেখ আনসারের আদি বাড়ি পুড়শুড়ার যশারে। সে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে খানাকুলের রামনগরে। ভক্তি মান্না নামে খানাকুলের তাঁতিশালের এক গ্যারেজ মালিককেও ধরেছে পুলিশ। সকলকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতেরা অধিকাংশ সময়ে কোন্নগরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী হুব্বা শ্যামলের ভাই বাচ্চুর কাছে থাকত। বাচ্চুর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে আরামবাগের মলয়পুর থেকে রাহুল ও অভিজিত্কে পাকড়াও করা হয়। তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আরামবাগ আদালতের বিচারক। রবিবার রাতে তাদের জেরা করেই বাইক উদ্ধার হয়। ধরা পড়ে বাকি দু’জন।
|
খানাকুলের গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
সোমবার বিকেলে খানাকুলের দু’টি জায়গায় বজ্রপাতে দুই ভাই-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম শঙ্কর পণ্ডিত (৩৮) ও মহেশ পণ্ডিত (২৮)। দু’ভাইয়ের বাড়ি কাবিলপুরে। মাঠে আমন ধান রোপণের সময়ে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। পাশের জমিতে কাজ করছিলেন সমর দলুই ও সুবর্ণ দলুই। তাঁরা আহত হন। প্রায় একই সময়ে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান খানাকুলেরই গোতডাঙ্গা গ্রামের নিশিকান্ত খেটো (৪৬)। অন্য দিকে, রবিবার বিকেলে পুড়শুড়ার ঘোলদিগরুই গ্রামের মাটে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যান টুঙ্কু দলুই (৪২) নামে এক গৃহবধূ। সব ক’টি দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
|
পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
পুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে বাগনানের আগুনসি বেলতলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিশির মণ্ডল (৫৫)। বাড়ি বাগনানের হারোপে। আগের রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ দিন দুপুরে ওই এলাকার একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতের দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। কী ভাবে ওই দেহ পুকুরে এল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরুর করেছে পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
রবিবার সন্ধ্যায় আরামবাগের চাঁদুরে লরির ধাক্কায় এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম জুম্মদ আলি (৫৫)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। রাস্তা ধরে হেঁটে দোকানে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ে বর্ধমানগামী একটি লরি তাঁকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে আনলে চিকিসত্কেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। |
|