আমরা কি উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখেও সাবধান হব না! উত্তরবঙ্গের পাহাড়কে নষ্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমে। যত্রতত্র বহুতল নির্মাণ। কয়েক বছরে তৈরি মাল্টিপ্লেক্স ও শপিং মল। পাহাড়ের ঢাল ও পাথুরে ঝুরো মাটির জন্য যে বাড়তি সতর্কতা দরকার তা মানা হচ্ছে না। খরস্রোতা নদীকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে আদায় করা হচ্ছে মহার্ঘ বিদ্যুৎ। ফেদিখোলায় পাহাড় ফাটিয়ে বিরাট সুড়ঙ্গ তৈরি করে নদীর জলের বারো মাসের প্রবাহ বজায় রাখার বন্দোবস্ত পাকা করা হয়েছে। |
রিম্বিক ছাড়িয়ে রাম্বাম হাইডেল প্রোজেক্টেও নদীর ঝোরার বয়ে চলার ওপর খবরদারি। আবার গয়াবাড়ি পেরিয়ে কার্সিয়ংয়ের আগে নয়নাভিরাম পাগলাঝোরা সরু সুতো হয়ে ঝুলছে। মংপু থেকে রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য বাড়ি যাওয়ার রাস্তার বাঁকে বাঁকে প্রচুর পলিথিনের ব্যাগ, গুটখা-পানমশলা-বিস্কুটের পলিপ্যাক, দুধের টেট্রা প্যাক, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ও ডিমের ক্রেটের এক পূতিগন্ধময় পরিবেশ। অল্প বৃষ্টিতে নীচের খোলায় গিয়ে মিশেছে এই বর্জ্য পদার্থ। সামার ক্যাম্পের চার দিকে লজেন্স, ট্রফি, চুইংগাম মাউথওয়াশ-শ্যাম্পুর প্যাকেট। এক্ষুনি ব্যবস্থা না-নিলে উত্তরাখণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
সঞ্জীব রাহা। সদস্য, মাউন্টেনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কৃষ্ণনগর, নদিয়া |