বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
লাল গ্রহের মাটিতে কৌতূহলের বছর পার
ক বছরের ব্যবধান। উৎকণ্ঠার ছবিটা বদলে গিয়েছে সাফল্যের খুশিতে। ২০১২ সালের ৬ অগস্ট মঙ্গলের মাটিতে পা রেখেছিল রোভার কিউরিওসিটি বা মিস কৌতূহল। তার পর থেকে লাল গ্রহ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের নানা অজানা তথ্য জুগিয়ে এসেছে সে। আজ, মঙ্গলবার তার কৌতূহলী কর্মজীবনের এক বছর পূর্তিতে নাসার বিজ্ঞানীদের স্মৃতিতে বারে বারেই ফিরে আসছে গত বছরের ৫ অগস্টের রাতটা।
মঙ্গলের মাটিতে কৌতূহলের অবতরণটাই ছিল মহাকাশ অভিযানের সবচেয়ে কঠিন ধাপ। স্কাই ক্রেন দিয়ে লাল গ্রহের মাটিতে নামানো হয়েছিল চলমান গবেষণাগারটিকে। এর আগে ঠিক এ ভাবে নাসা কোনও অবতরণ করায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অবতরণের সাফল্যের উপরেই নির্ভর করেছিল গোটা অভিযানের ভাগ্য। তাই ৫ অগস্ট, অবতরণের আগের রাতটা বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।
এক বছর পরে এ বার ফিরে দেখার পালা। মঙ্গলবার নাসার টিভি চ্যানেলে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরে বসবে আলোচনা সভা। আবার পাসাডেনার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বিজ্ঞানীরাও অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। কিউরিওসিটি-র উৎক্ষেপণ থেকে লাল গ্রহের মাটিতে অবতরণ, সব কিছু দেখাশোনার ভার তো ছিল তাঁদেরই হাতে। সে উৎকণ্ঠারই স্মৃতি রোমন্থন করবেন গবেষকরা।
লাল গ্রহে আদৌ কখনও প্রাণের অনুকূল পরিবেশ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতেই কৌতূহলের মঙ্গল পাড়ি। নাসা-র মঙ্গল অভিযান প্রকল্পের চেয়ারম্যান অমিতাভ ঘোষ ফোনে জানালেন, “এ যাবৎকাল অনেক নতুন তথ্যই জুগিয়েছে কৌতূহল। মঙ্গলের মাটিতে জল-মিথেনের অস্তিত্বের কথা জানিয়েছে সে। হাওয়াই দ্বীপে যেমন আগ্নেয়শিলা পাওয়া যায়, সন্ধান দিয়েছে তেমন পাথরেরও। লাল গ্রহের মাটিতে খোঁজ দিয়েছে প্রাচীন নদী খাতের।”
মঙ্গলের মাটি থেকে গত এক বছরে ১৯০ গিগাবাইট তথ্য, ৭১ হাজার ছবি এবং ৭৫ হাজার লেজার শট পাঠিয়েছে কৌতূহল। তবে, লাল মাটিতে বেশ কয়েক বার প্রতিকূল পরিস্থিতিরও শিকার হতে হয়েছে তাকে। একবার তো সৌরঝড়ের দাপটে তাকে কয়েক সপ্তাহের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ কি না বন্ধ রাখতে হয়েছিল কৌতূহলী কার্যকলাপ। মঙ্গলের এবড়োখেবড়ো মাটিতে চলাফেরা করতেও বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কিউরিওসিটিকে।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, চলাফেরার সুবিধার জন্য কৌতূহলের মগজে সম্প্রতি নতুন একটি সফটওয়্যার ভরে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তার চলার গতি বেড়ে গিয়েছে। গত চার সপ্তাহে সে পাড়ি দিয়েছে প্রায় ৭০০ মিটার। অমিতাভবাবু জানালেন, কৌতূহল এখন তার সন্ধানী চোখে মঙ্গলের মাউন্ট শার্পের কাছে পাথরের বিভিন্ন স্তরের গঠন বিশ্লেষণ করতে ব্যস্ত। আর এই সব কাজ করতে করতেই কৌতূহলের স্বাভাবিক জীবনের অর্ধেকটা কেটে গিয়েছে।
কী রকম? বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা এই ধরনের যানগুলির ক্ষেত্রে, তার কার্যকালের মেয়াদের একটা হিসেব করে নেওয়া হয়। কৌতূহলের ক্ষেত্রে তা দু’বছর। তবে দু’বছর পরেই যে তার জীবন শেষ হয়ে যাবে এমনটা নিশ্চিত করে বলেছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এর আগে রোভার অপরচুনিটি তার স্বাভাবিক কার্যকালের মেয়াদ (তিন মাস) পেরিয়ে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম ছিল। কৌতূহলও তেমন দীর্ঘজীবী হবে কি না, এখন সেটাই দেখার।

পুরনো খবর:

পালিত হল বিজ্ঞান দিবস
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৫২তম জন্মদিবস উপলক্ষে শুক্রবার ‘বিজ্ঞান দিবস’ পালিত হল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠে। ভারতীয় গণিতের ইতিহাস সম্পর্কে একটি আলোচনাচক্র হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর গণিত বিষয়ের অধ্যাপক অঞ্জনকুমার ভুঁইয়া, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী সর্বগানন্দ। বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারাও আলোচনায় যোগ দেয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.