মুসলিম ব্রাদারহুডের তিন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে শুনানি শুরু করার সবুজ সঙ্কেত দিল মিশরের আদালত। প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর তাঁর সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুডের বহু কর্মীকে আটক করে বর্তমান সামরিক সরকার। তবে দলের ধর্মগুরু বা উপ-প্রধানের মতো বড় মাপের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর ঘটনা এর আগে ঘটেনি। চলতি মাসের ২৫ তারিখ মুসলিম ব্রাদারহুডের এই তিন নেতার বিচার শুরু হবে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসির শাসনের শেষ দিন হাজার খানেক বিরোধী হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের সদর দফতরের বাইরে। ওই বাড়িটিতে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগে বাড়ির ভিতর থেকে প্রবল গুলিবর্ষণে মৃত্যু হয় আট মুরসি-বিরোধীর। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। পরে সামরিক সরকার ক্ষমতার এলে, খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের ধর্মগুরু মহম্মদ বেইদ, উপ-প্রধান খইরত অল-শাতের ও আরও এক প্রথম সারির নেতা মহম্মদ বেউমিকে। এই মামলারই বিচার শুরু হবে আর কুড়ি দিন পর।
মিশরের এই অশান্তির বাতাবরণের মধ্যেই ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতৃত্বের নামে মামলা শুরুর নির্দেশ পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই মুরসিকে ফের প্রেসিডেন্ট পদে বহালের দাবিতে কায়রো শহরে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর সমর্থকরা। এই পদক্ষেপে তাঁদের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার মুরসি সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে ইয়েমেন থেকে এসেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী তাওয়াক্কুল কারমান। নিজের দেশের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে যাঁর ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মিশরে মুরসির সমর্থনে মুখ খোলায় তাওয়াক্কুলকে দেশের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দিল না প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুরসির অপসারণের এক মাস পরও মিশরের অশান্তির ছবিটা যে বদলায়নি, এই ঘটনা আরও এক বার প্রমাণ করে দিল তা। |