প্রয়োজনে অনাবাদি জমিতে শিল্প, কলকারখানা হবে। অগভীর জলাশয় ভরাট করে রং-বেরঙের ফ্ল্যাট গড়ে উঠবে। অফিস-আদালত, স্কুল কলেজে শূন্য পদগুলিতে কর্মী নিয়োগ করা হবেএটা বাস্তব। আর বছরের পর বছর প্রয়োজন সত্ত্বেও একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অচল পড়ে থাকবেএও বাস্তব। সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হবে ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে মারা হল এক বৃদ্ধাকে, হাতুড়ে ডাক্তারকে গ্রেফতার ও জরিমানা, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগে প্রসূতি-মৃত্যু ইত্যাদি। এমনই এক অবস্থার সম্মুখীন মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা। এই ব্লকের অধীন বাহাদুরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবস্থা খুবই বেহাল। |
স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রায় ’৭০ থেকে ’৮৯-র দশকে তৈরি হয়েছিল। সেখানে রোগী ভর্তি থেকে নানান পরিষেবা পাওয়া যেত। এখন এটি অকেজো। পাওয়া যায় শুধু আউটডোর পরিষেবা। রোজ এক জন ডাক্তারবাবুকে পাওয়া যায় সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভিড় করে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুনরায় চালুর পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়নি। চিকিত্সার জন্য ছুটে যেতে হয় বলুবলুচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতাল বা জেলার সদর হাসপাতালে। এই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু না হলে রোগীর ভিড় বাড়বে, ব্যাহত হবে পরিষেবা, সদর হাসপাতালেও চাপ বাড়বে, চিকিত্সার গাফিলতি হবে। তার ফলে ঘেরাও হবে ডাক্তার, ভাঙচুর হবে হাসপাতাল। তাই সরকারের উচিত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা।
রামপদ সরকার। মালদহ
|
কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর এই বাঙালির পাত থেকে উধাও স্থানীয় ছোট মাছ। দিনহাটার উপকণ্ঠে ষষ্ঠীয়ার বিল। এমন একটা সময় ছিল, যখন বিলের মাছ দিনহাটা এবং তার পার্শ্ববর্তী বাজারগুলোয় পাওয়া যেত। শুধু তাই নয়, ষষ্ঠীয়ার বিলের মাছ এতদঞ্চলের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করত। এই বিলে মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করত স্থানীয় ধীবররা। |
আজ ষষ্ঠীয়ার বিল ধুঁকছে। জলাধার বুজে আসছে দখলদারী মনোবৃত্তির ফলে। এ বিল বাদ যায়নি মানুষের দখলদারি মনোবৃত্তির গ্রাস থেকে। সরকারি নথিপত্রে ‘ষষ্ঠীয়ার বিল’ বিল হিসেবেই চিহ্নিত হলেও অজানা কারণে তা ভরাট হয়ে জমির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন আছে, পঞ্চায়েত আছে, নেই দৃষ্টি। উদাসীনতায় মৃতপ্রায় বিল অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে।
শুভাশিস দাশ। দিনহাটা |