টুকরো খবর
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল বেলডাঙাবাসী
গত শুক্রবার থেকে বেলডাঙা পুরসভার ৬, ৭ এভং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় এক হাজার পরিবার বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৩ কিলোগ্রাম ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ার ফলেই এই সমস্যা। রমজান মাসে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা বেড়েছে। অসুবিধায় পড়েছেন উৎসব মরসুমে ব্যবসায়ীরাও। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট ওই এলাকা ছাড়াও শহরের অন্যান্য অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও ভোল্টেজ প্রায় থাকে না বললেই চলে। সমস্যা চরমে ওঠে সন্ধ্যায়। অসুবিধা হয় পড়ুয়াদের পড়ারশোনার ক্ষেত্রেও। বেলডাঙা হাটপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আরফাত শেখ বলেন, “ঈদের মুখে ব্যবসায়ীরা সমস্যার সম্মুখীন। দিনে ভোল্টেজ সমস্যা থাকেই। রাতে সমস্যা আরও বাড়ে।” কবে মিটবে এই সমস্যা? বেলডাঙা পুরসভার উপ পুরপ্রধান কংগ্রেসের জুল হক বলেন, “শুক্রবার থেকে এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের বড় অংশে বিদ্যুৎ নেই। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়েছে। শনি-রবিবার ছুটি থাকায় মেরামত করা যায়নি। সোমবার নিশ্চয়ই মানুষ পরিষেবা পাবেন।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের শীলা ঘোষ বলেন, এই এলাকায় মূলত ভোল্টেজের সমস্যার জন্য বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে।” বেলডাঙা বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন সুপারিনটেন্ডেন্ট অশ্বিনী কুমার পুরসভাকে জানিয়েছেন সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্কুলেই উদ্ধার শিক্ষিকার দেহ
স্কুলের মধ্যে থেকেই এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতা রেবতী বাস্কের (২৬) বাড়ি চাকদহের ক্ষুদ্র মোহনপুর এলাকায়। শনিবার রাতে বাড়ির অদূরের মোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই শিক্ষিকার দেহ মেলে। কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই শিক্ষিকা আত্মঘাতী হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর বছর খানেক আগে রেবতীদেবী ওই স্কুলে যোগ দেন। শনিবার দুপুর দু’টো নাগাদ স্কুল ছুটির পর পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়ি চলে যান। থেকে যান ওই শিক্ষিকা। সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর বাড়ির লোকজন স্কুলের এক শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর যায় প্রধান শিক্ষক তমাল কৃষ্ণ ঘোষালের কাছেও। খোঁজাখুঁজির পর রাতে স্কুল ঘরের দরজা ভেঙে রেবতীদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তমালবাবু বলেন, “খুব চাপা স্বভাবের ছিলেন রেবতীদেবী। স্কুলে চুপচাপ থাকতেন। কেন এমন করলেন বুঝতে পারছি না।” মৃতার ননদ ঝর্ণা বাস্কে বলেন, “কেন এমন ঘটনা ঘটল তা মোটেই বুঝতে পারছি না।”

পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ মন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী।
বর্ষাতে রাজ্যের পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে চাষিদের পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দিতে বিঘা প্রতি দশ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা। রবিবার সাগরদিঘির বালিয়ায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই ঘোষণা করেন। মন্ত্রী বলেন, “বর্ষায় পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনতে হয়। তাই বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ ৬টি জেলার চাষিদের পেঁয়াজ চাষের জন্য অনুদান দেওয়া হবে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে সুব্রতবাবু সব্জি পরিবহণের জন্য একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানের উদ্বোধন করেন। এ দিনই সুব্রতবাবু জানান, জেলার কোনও ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে তৃণমূল কোনও দলের সঙ্গে জোট করে বোর্ড গঠন করবে না। তিনি বলেন, “দলীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তৃণমূল ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিতে বিরোধী পক্ষের ভূমিকা পালন করবে।”

রাজনীতিতে না অতীশ-পুত্রের
বাবা সাতবারের বিধায়ক। ছেলে কিন্তু রাজনীতিতে আসতে নারাজ। শনিবার রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে অতীশ সিংহের পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করতে এসে এমন কথাই জানালেন অতীশ-পুত্র অনিন্দ্য সিংহ। কান্দির বাসিন্দাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও জল্পনা ছিল বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে যোগ দেবেন অনিন্দ্যবাবু। সেই জল্পনায় জল ঢেলে তিনি বলেন, “আমি কোনও দিনই রাজনীতিতে যোগ দেব না।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “কান্দি, রাজ্য বা দেশের উন্নতি করতে গেলে রাজনীতি করতে হবে এমন কোনও কথা নেই।”

জলে ডুবে মৃত্যু
জলে ডুবে মৃত্যু হল এক বালকের। শনিবার সন্ধ্যায় কান্দির মাধুনিয়া গ্রামের এই ঘটনায় মৃতের নাম রানা মিস্ত্রি (৬)। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে একটি ডোবার পাশে খেলছিল রানা। হঠাৎই সে ডোবায় পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.