লছিমনের দাপটে নাভিশ্বাস বেলডাঙাবাসীর।
গত এপ্রিলে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নির্দেশ দেয়, ১ মে থেকে শহরের ভিতরে লছিমন বা ‘ভ্যানো’ ঢুকবে না। এক মাস সেই নির্দেশ কার্যকরের পর আবার যে কে সেই অবস্থা। জাতীয় সড়কের উপর বড়ুয়া মোড় থেকে পুর এলাকা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের আনাচে-কানাচে লছিমন ঢুকছে অবাধে।
শুক্রবার ও শনিবার স্টেশন সংলগ্ন রিকশাস্ট্যান্ড, বড়ুয়া মোড়, ছাপাখানা মোড়, গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া এলাকায় চোখে পড়ল সারিবদ্ধ অগুনতি লছিমন। শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্টেশনে আপ এবং ডাউন দু’টি ট্রেনই থেমেছে। ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন চত্বর পার করতে যাত্রীদের কালঘাম ছোটার উপক্রম। স্টেশন সংলগ্ন ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে ডান-বাম দু’দিকেই সারিবদ্ধ লছিমনের ভিড়। |
নিত্যযাত্রী সত্যরঞ্জন কর্মকার বলেন, “স্টেশন থেকে নেমে ছাপাখানার মোড়ে যাব। রাস্তা মেরেকেটে একশো মিটার। কিন্তু ক্ষুদিরাম মূর্তির কাছে লছিমনের ভিড় ঠেলে মূল রাস্তায় পৌঁছতেই লেগে গেল পাক্কা পাঁচ মিনিট।” সত্যরঞ্জনবাবুর আরও অনেককে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ট্রেন থেকে নেমে প্রতিদিন লছিমনের ভিড় ঠেলতে হয়। শহরজোড়া যানজটে ক্ষুব্ধ সকলে। বেলডাঙা দেবকুণ্ডু হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এম এ সবুর বলেন, “প্রশাসনের উদ্যোগে শহর যানজট-মুক্ত ছিল। কিন্তু আবার তা ফিরে এসেছে। আবার লছিমন ফিরে আসছে।” বড়ুয়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মুকতাদির হুসেন বলেন, “প্রশাসন ভাল ভূমিকা নিয়েছিল। কিন্তু তা স্থায়ী হল না। শহরে লছিমনের দাপট আবার ফিরে এসেছে।”
বেলডাঙা পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের অনুপমা সরকার বলেন, “যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্রিয় হয়েছিল। কিন্তু তা সাময়িক। পুনরায় লছিমন বেড়েছে, যানজটও। বিষয়টি লিখিত ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করছি, সমস্যা মিটবে।” কিন্তু যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশি সক্রিয়তা হঠাৎ উধাও হয়ে গেল কেন? জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, “ভোটের জন্য সব ক্ষেত্রে নজরদারি করা যায়নি। তবে শহরকে পুনরায় যানজট-মুক্ত করতে দ্রুত নজরদারি বাড়ানো হবে।”
আর এই অপেক্ষাতেই দিন গুনছে শহরবাসী। |