ডিআরএস নিয়ে রবিবার দিনভর জল্পনায় দাঁড়ি টেনে দিলেন ভারতীয় বোর্ডের অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ডিআরএস নিয়ে আইসিসি-র সঙ্গে কোনও ‘কম্প্রোমাইজিং ফর্মুলা’-য় যাচ্ছে না ভারতীয় বোর্ড।
ঘটনাটা কী?
এ দিন একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে আচমকা লিখে ফেলা হয়, ডিআরএস নিয়ে আইসিসি-র ‘কম্প্রোমাইজিং ফর্মুলা’-য় আলোচনা চালাচ্ছে বোর্ড। কিন্তু কী সেই ফর্মুলা, পরিষ্কার করে বলা নেই। আরও বলা হচ্ছিল, ডিআরএস নিয়ে ভারতের আপত্তির কারণ যত না প্রযুক্তিগত, তার চেয়ে বেশি রিভিউয়ের সংখ্যা নিয়ে। কিন্তু ডালমিয়া পাল্টা বলে রাখলেন, এমন কোনও আলোচনার খবর তাঁর কাছে নেই। শুধু তাই নয়, এ রকম ফর্মুলা বোর্ডের কাছে এসেছে বলে তিনি জানেন না। বলছিলেন, “সকাল থেকে নানা জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি এটা নিয়ে। পুরোটাই বাজে খবর। ডিআরএস নিয়ে আমাদের যা স্টান্স ছিল, এখনও তাই আছে।”
ফর্মুলা হিসেবে বলা হচ্ছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যদি আবেদনকারী টিমের রিভিউ ব্যর্থ হয়, তা হলে দু’টোর মধ্যে একটা রিভিউ বেঁচে যাবে। ভারতের ম্যাচ রেফারিদের কেউ কেউ যা শুনে প্রশ্ন তুলছেন, আম্পায়ার বলতে কোন আম্পায়ার বোঝানো হচ্ছে? আর দু’টোর মধ্যে একটা রিভিউ বেঁচে যাবে বলার অর্থও কোথায়? ঘটনা হচ্ছে, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ ডিআরএস মেনে নিলেও ভারত বরাবরই এ ব্যাপারে চরম অসূয়া দেখিয়ে এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ত্রিদেশীয় সিরিজ বা জিম্বাবোয়েতে সদ্যসমাপ্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজকোথাওই ডিআরএস প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যায়নি। বরং অ্যাসেজে ডিআরএস নিয়ে একটার পর একটা বিতর্ক বেঁধেছে। দেশের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি মহলের মনে হচ্ছে, প্রযুক্তির ভুলভ্রান্তি যেখানে স্পষ্ট ধরা পড়ছে, সেখানে এর পর ভারতীয় বোর্ড ডিআরএস নিয়ে কোনও আলোচনায় যাবে ভাবাটাই ভুল। আরও জানানো হচ্ছে, এ ব্যাপারে বোর্ড কোনও কথাও বলেনি তাদের সঙ্গে। |