খেলার মাঠে বিশৃঙ্খলার জন্য বন্ধ হয়ে গেল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত নার্সারি লিগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। রবিবার অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে পালপাড়া স্পোর্টিং এবং হরিজন সমিতির মধ্যে ফাইনাল খেলা ছিল। মাসখানেক আগে কালনা শহর এবং আশেপাশের ১৩টি দলকে নিয়ে শুরু হয় চলতি বছরের নার্সারি লিগ। এ দিন খেলার শুরুতেই হরিজন সমিতির সমর্থকেরা বাজনার সামগ্রী নিয়ে মাঠে উপস্থিত হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর শুরু হয় টাইব্রেকার। রেফারি দু’টি দলকেই চারটি করে শট মারার নির্দেশ দেন। এর পর ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় পালপাড়া। রেফারি পালপাড়াকে জয়ী ঘোষণা করার পরই অশান্তি শুরু হয়। |
হরিজন সমিতির দর্শকরা প্রথমে রেফারিকে লক্ষ করে ছুটে আসেন। এর পর তাঁরা পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সময় মঞ্চে ছিলেন কালনার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, মহকুম ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সংস্থার সহ-সভাপতি প্রকৃতি মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকে। তাঁরা হরিজন সমিতির সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। বরং ক্লাবের সদস্যেরা মঞ্চের চেয়ার-টেবিল উল্টে দেন। এমন কি রেফারির উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করেন। বিপক্ষ দলের কর্মকর্তা-সদস্যদের সঙ্গেও মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। এর পর বিধায়ক থানায় ফোন করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অমরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “টাইব্রেকারের আগে দু’দলের ক্যাপ্টেনকে মাঠে ডেকে রেফারিরা জানিয়ে দেন প্রত্যেক দল চারটি করে শট মারতে পারবে। এর পরও হরিজন সমিতি পাঁচটা করে শট মারতে দিতে হবে হলে উত্তেজনা ছড়ায়। ওদের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক। এই পরিস্থিতিতে এ দিন আর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চালানো যায়নি।” মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাইনাল খেলায় বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য পরবর্তীতে হরিজন সমিতিকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। |