রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত বাংলায়। শনিবার দুপুরে বসিরহাটের বাইলপুর গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে এক মহিলা-সহ চার জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে মিনাখাঁর মোহনপুর পঞ্চায়েতের মুচিখোলা গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। পার্টি অফিস সংলগ্ন একটি দোকানও পুড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও হাড়োয়ার ককিলপুর ও গড়কুয়াটি গ্রামে তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। আহত তিন তৃণমূল কর্মী হাড়োয়া হাসপাতালে ভর্তি। সিপিএম অবশ্য সবকটি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।বসিরহাটের গাছারআটি, খিদিরপুর গ্রামে আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর ও তাঁদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে বামফ্রন্ট। শুক্রবার মহকুমাশাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে স্মারকলিপিও দেয় তারা। সম্প্রতি স্বরূপনগরে দুই সিপিএম কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে স্বরূপনগর থানার সামনে শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ দেখায় বামফ্রন্ট। হিঙ্গলগঞ্জে বাড়ির ভিতর বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় সিপিএম সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, শনিবার হাওড়ার বাগনান ১ ব্লকের হাটুরিয়ার খানপুরে এক মহিলা তৃণমূল নেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বসিরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেলেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
|
পঞ্চায়েত ভোটের দিন (১৯ জুলাই) উস্তির লক্ষ্মীকান্তপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মী সনৎ ঘোষকে খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত দীপঙ্কর বর, পঙ্কর বর, বিধান বর এবং সোয়েল বর নামে ওই চার জনকে শুক্রবার রাতে উস্তিতে নিয়ে আসা হয়। শনিবার ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক চার জনকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতেরা সকলেই সিপিএম সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ তারিখ ভোটের দিন লক্ষ্মীকান্তপুরের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সনৎ খাবার নিয়ে দলীয় ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছিলেন। বাড়ির অদূরেই সিপিএমের একটি ক্যাম্প থেকে তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বুকে গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। নিহতের পরিবারের লোকজন সিপিএমের আট কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশ এর আগে দু’জনকে গ্রেফতার করে। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। দলীয় সমর্থকদের গ্রেফতারের প্রসঙ্গে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর দাবি, “মিথ্যা অভিযোগে দলীয় সমর্থকদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক।”
|
জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে পুলিশ ন’জনকে গ্রেফতার করার পরে মারা গেলেন এক জন। শুক্রবার রাতে সিঙ্গুরের মির্জাপুর-বাঁকিপুর এলাকার ওই জুয়ার ঠেকে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে ছিল জুয়ার বুকি মহম্মদ শাহিদ (৬২)। সে কলকাতার নারকেলডাঙার বাসিন্দা। থানায় পর শাহিদ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর তাঁকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে মারা যায়। চিকিৎসকের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল শাহিদ। শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটির ময়না-তদন্ত হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে।
|
এক তরুণী ও তাঁর মাকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে এক কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বারাসতের কদম্বগাছির ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সজল দে। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক। পুলিশ জানায়, এ দিন কদম্বগাছির একটি বাড়িতে তিনি জমির বিবাদের সালিশি করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সজলবাবু বাড়ির এক মহিলা ও তাঁর তরুণী মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরাই পুলিশে খবর দিই।” কংগ্রেসের দাবি, “জমির বিবাদের সালিশি করতে গিয়েছিলেন সজলবাবু। বাকিটা তৃণমূলের চক্রান্ত।”
|
জমি-বিবাদে জখম বলেন এক জন। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের রামগোপালপুর গ্রামের ঘটনা। এ দিন বিকেলে তৃণমূল সমর্থক শ্যামপদ চন্দ্রের জমিতে চাষের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। তখন সিপিএমের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী দুর্গাপদ সাউ দলবল নিয়ে তাদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। তখনই লাঠির ঘায়ে শ্যামপদবাবুর ভাই সঞ্জয়বাবুর মাথা ফেটে যায়। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
ডাকঘরের তালা ভেঙে কয়েক হাজার টাকা চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। নথিপত্রও নষ্ট করেছে তারা। শুক্রবার বাদুড়িয়ার তারাগুনিয়ার ঘটনা। |