দলের টিকিট না পেয়ে ‘নির্দল’ হিসেবে লড়ে এ বার আরামবাগের মলয়পুর-২ পঞ্চায়েত দখল করেছেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।
কিন্তু পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং জয়ী ‘নির্দল’ প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে বলে শুক্রবার মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়ের কাছে স্মারকলিপি দিলেন নির্দল প্রার্থীরা।
মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে।” পুলিশ জানায়, এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষের মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরামবাগ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র মলয়পুর-২ পঞ্চায়েতই নির্দলদের দখলে। বাদবাকি সবই তৃণমূূলের। ওই পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে নির্দলেরা পেয়েছে সাতটি, তৃণমূল পাঁচটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় দুই গোষ্ঠীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে।
নির্দলদের পক্ষে সরকার আলাউদ্দিনের অভিযোগ, ওরা আমাদের বোর্ড গঠন করতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। মারধর করছে। আবার আমাদের বিরুদ্ধেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসের মিুথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। পুলিশও পক্ষপাতিত্ব করছে।
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মলয়পুর-২ অঞ্চল সভাপতি মৃণাল ঘোষ বলেন, “ওদের বোর্ড গঠনে আমরা বাধা দেব কেন? ওরাই জেতার পর থেকে বোমা-বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস করছে।”দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। আমরা দলীয় ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” |