খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে ধান রোয়ানোর অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বোরো থানায় অভিযোগ হয়েছে। বুধবার পুলিশ অভিযোগের তদন্তে স্কুলে যায়। স্কুল-কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বোরো থানার খড়িদুয়ারা গ্রামের কাছে মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তার ধারে গত কয়েক বছর ধরে বাচ্চাদের একটি বেসরকারি স্কুল চলছে। ওই থানার কুটনি গ্রামের বাসিন্দা অম্বুজাক্ষ মাহাতোর অভিযোগ, “২৮ জুলাই ওই রাস্তা ধরে মানবাজার যাচ্ছিলাম। দেখি, স্কুল লাগোয়া জমিতে পড়ুয়ারা ধান রোয়ার কাজ করছে। আমার এক ভাগ্নীও ওই দলে রয়েছে। শিশু পড়ুয়াদের দিয়ে কেন এই ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, জানতে চাইলে স্কুল থেকে বলা হয় শারীরশিক্ষা কর্মসূচির অধীনে এ ধরনের কাজ করানো যেতে পারে।” স্থানীয় বুঁদিয়া গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন মাহাতো বলেন, “অম্বুজের কাছে সব শুনে আমরা স্কুলে যাই। জিজ্ঞেস করে জানতে পারি জমিটি স্কুলের মালিকের। ওই জমিতে আমার মেয়ে-সহ অনেক বাচ্চাই ধান রোয়ার কাজ করেছে। স্কুলে পড়াশোনা ছেড়ে বাচ্চাদের এই ধরনের ভারী কাজে কেন লাগানো হল, তার সদুত্তর না মেলায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
জেলার সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষ মনোজ সাহা বলেন, “ওই বয়সের পড়ুয়াদের দিয়ে ধান রোয়ার মতো কাজ করানো ঠিক নয়। এটি শিশুশ্রম বিরোধী আইনের আওতায় পড়বে। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জুলাই অভিযোগ দায়ের হলেও নির্বাচনী ফল প্রকাশের কারণে থানায় কর্মী কম থাকায় বুধবার ওই স্কুলে তদন্তে যাওয়া হয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মণ মাহাতোর অবশ্য দাবি, “কেউ পড়ুয়াদের জমিতে নামার নির্দেশ দেয়নি। ওরা নিজেরাই খেলার ছলে জমিতে নেমেছিল।” স্কুলের কেয়ারটেকার কী করছিলেন? কেয়ারটেকার রঞ্জিত রায় বলেন, “ওই সময় আমি কম্পিউটারে স্কুলের কাজ করছিলাম। পড়ুয়ারা কখন জমিতে নেমেছিল, বুঝতে পারিনি। পরে ওদের ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম।” |