পাহাড়ের তিনদিনের ধর্মঘটে দার্জিলিং চা শিল্পের অন্তত ১১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এই ধর্মঘট রফতানি বাজারেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা চা শিল্পমহলের। এই পরিস্থিতিতে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য মোর্চা ধর্মঘট ডাকায় উদ্বেগে তারা। চা শিল্পকে ধমর্ঘটের আওতা থেকে পুরোপুরি ছাড় দেওয়ার জন্য মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গকে বুধবার চিঠি দিয়ে আর্জি জানান বাগান মালিকদের সংগঠন কনসাল্টেটিভ কমিটি অফ প্লান্টেশন (সিসিপিএ) অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অরুণ সিংহ।
তাঁর বক্তব্য, এমনিতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য এ বার চা উৎপাদন গোড়ার দিকে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। জুলাইতে গড়ে ১৩ লক্ষ কেজি দার্জিলিং চা তৈরি হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ধর্মঘটের জন্য প্রায় তিন লক্ষ কেজি চা কম তৈরি হয়েছে। টাকার অঙ্কে সেই লোকসানের মূল্য ১১ টাকারও বেশি।
সিসিপিএ-র ফার্স্ট ও সেকেন্ড ফ্লাশ চায়ের মরসুমের পরে এখন বর্ষার মরসুম দার্জিলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় ফের ধর্মঘট হলে শুধু চা শিল্পই নয়, সঙ্কটের মুখে পড়বে পাহাড়ের অর্থনীতিও। কারণ পর্যটন ছাড়া চা শিল্পই সেখানকার একমাত্র সংগঠিত শিল্প। এবং সবচেয়ে বেসি কর্মসংস্থানের সূত্র। তবে শুধু বাগানে চা উৎপাদনই নয়, বাগানকে কেন্দ্র করে গোটা কর্মকাণ্ডকেই ধর্মঘটের আওতা থেকে ছাড় দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিবহণ ব্যবস্থা অচল থাকলে যেমন চা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা সরঞ্জাম ঢুকতে পারবে না, তেমনই চা তৈরির পরে তা বাগানেই থাকলে কোনও লাভ নেই। সেই চা বিক্রির জন্য বাজারে পাঠাতে হবে। তাই চা বাগানকেন্দ্রিক পরিবহণ ব্যবস্থাও চালু রাখার আর্জি জানিয়েছে সিসিপিএ। |