পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও অশান্তি অব্যাহত খনি অঞ্চল-সহ বিভিন্ন এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে সিপিএম ও তৃণমূল উভয় দলের দিকেই।
মঙ্গলবার রাতে জামুরিয়া ব্লকের চুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের দুই জয়ী প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ,তাঁদের জয়ী প্রার্থী ভারতী বাউড়ি এবং মহম্মদ শার বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকেরা। সিপিএমের অজয় জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্ত বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে পদত্যাগ না করলে আমাদের ওই জয়ী প্রার্থীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার সকালে হিজলগড়া গ্রামে আমাদের পরাজিত পঞ্চায়েত প্রার্থী নজরুল হকের বাড়িতেও তৃণমূল ভাঙচুর চালায়।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্ডালেরও হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল। অন্ডালের সিদুলি কোলিয়ারি এলাকায় সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির কোলিয়ারি শাখা সম্পাদক কেদারনাথ পান্ডের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
ভাঙচুর সিপিএম অফিস। —নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার গভীর রাতে কাঁকসা থানার বসুধা গ্রামে সিপিএমের একটি দলীয় কার্য্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সিপিএমের প্রাক্তন কাঁকসা জোনাল সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডলের অভিযোগ, “সন্ধ্যায় পানাগড় গ্রামের একটি পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করে তৃণমূল। গভীর রাতে তারা হামলা চালায় বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বসুধা গ্রামের পার্টি অফিসে।” তৃণমূলের জেলা পরিষদের বিজয়ী প্রার্থী দেবদাস বক্সী বলেন, “নির্বাচনের পরে হিংসা ছড়ানো সিপিএমের অভ্যাস, আমাদের নয়। পুলিশ তদন্ত করুক।”
অন্যদিকে, অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধীবর পাড়ায় তৃণমূলের জয়ী জেলা পরিষদ প্রার্থী সন্ধ্যা ধীবরের বাড়িতে ভাঙচুর এবং তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা গণেশ বাদ্যকরের অভিযোগ, “মঙ্গলবার রাতে সিপিএম নেতা প্রকাশ সরকার এবং বুদ্ধদেব সরকারের নেতৃত্বে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা আমাদের জয়ী জেলা পরিষদ সদস্য সন্ধ্যা ধীবরের বাড়িতে চড়াও হয় ও তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁর ঘরে ব্যাপক ভাঙচুরও চালানো হয়। দলের ধীবরপাড়া এবং তাঁতিপাড়ার কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও করেছে তৃণমূল।” সন্ধ্যাদেবী অন্ডাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ মানেনি। |