রাজ্যে পালা বদলের পর মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে উদ্যোগী, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জেনারেল সার্জেনের সংখ্যা তখন কমতে কমতে আজ মাত্র দু’জনে ঠেকেছে, এটাই বিস্ময়ের! এর ফলে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের রোগীদের দুর্ভোগের অন্ত থাকছে না। নানাবিধ অপারেশনের জন্য অসংখ্য রোগী প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন সদর হাসপাতালে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই হাসপাতালে শল্য চিকিৎসকের সংখ্যা না বাড়ালে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা যে ভেঙে পড়তে পারে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর বদান্যতায় এই হাসপাতালের পরিকাঠোমা অনেকটা বদলে গিয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে সব পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও যে রোগীদের চিকিৎসার কোনও সুরাহা হবে না, তা আমার মতো অনেক ভুক্তভোগী মানুষই এই বাস্তব সত্যটা স্বীকার করে নেবেন। এ শহরের নাগরিক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, জলপাইগুড়ির মতো সুপ্রাচীন হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব মেটাতে সচেষ্ট হোন, যাতে সার্জেনের অভাবে এই হাসপাতালে রোগীদের যথা সময়ে চিকিৎসা করা সম্ভব হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে এবং রোগীরাও যেন সব রোগ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান।
অরবিন্দকুমার সেন। জলপাইগুড়ি।
|
জেলা শহর জলপাইগুড়ি। সন্ধ্যায় মাঝবয়সী ও বয়স্করা রাস্তায় ঘুরতে বেরোন। কিন্তু মোটর বাইক-বাজদের অত্যাচারে কেউ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন, কেউবা রাস্তা পেরোতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। মোটর বাইক নিয়ে এক দল কিশোর-যুবক রাস্তার উপর সার্কাসের কেরামতি দেখাতে দেখাতে কোনও মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে মোটর বাইকগুলো দাঁড় করিয়ে দেয়। সিটে বসে সিগারেটে সুখ-টান মারতে থাকে যতক্ষণ না রাস্তা সুনসান হয়। এদের অনেকেই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। বিজ্ঞাপনের দৌলতে এদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য ঝা-চকচকে মোটরবাইক। বাইকেই শয়ন, ভোজন এবং উদভ্রান্ত ভ্রমণ। এতে জলপাইগুড়ি শহরে পায়ে হেঁটে পথ চলা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পথ- দুর্ঘটনার কারণ হল টিনএজারদের আবেগজনিত কারণে দুর্দান্ত গতিতে চালানো মোটর বাইক। ডি বি সি রোড, মার্চেন্ট রোড, সমাজপাড়া, বাবুপাড়া, তিন নম্বর গুমটি দিয়ে হাঁটতে হলে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। প্রশাসন-পুলিশ নির্বিকার। ডিবিসি রোডের কয়েক গজের মধ্যেই কোতোয়ালি থানা। তথাপি পুলিশের কোনও দায়িত্ব নেই। অথচ এই সব দুরন্ত গতির বাইক নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। সমাজ সম্পর্কে দায়িত্ববোধহীন মোটর-বাইকবাজ এই তরুণ সমাজকে সজাগ ও সচেতন করে তোলার জন্য শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা এগিয়ে এসে আমজনতাকে ভয় থেকে বাঁচান।
ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত। জলপাইগুড়ি।
|
উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত সদর মহকুমার সদর ব্লকে ১ নং ভাতুন পঞ্চায়েতে ভাটোল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি স্বাধীনতাপ্রাপ্তির কয়েক বছরের মধ্যেই স্থাপিত হলেও এর উন্নতি বিশ বাঁও জলে। এখানে রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। তাও রাতে থাকেন না। রায়গঞ্জ সদর থেকে যাতায়াত করেন। কোনও বাসিন্দা রাতবিরেতে অসুস্থ হলে এক প্রাণান্তকর যাত্রা সহ্য করে ২৫ কিলোমিটার দূরে রায়গঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া গত্যান্তর থাকে না। অনেক বারই এ রোগীর জীবনহানিও ঘটেছে।
এখানে শয্যা ব্যবস্থার প্রক্রিয়া অনেক দিন আগে গ্রহণ করা হলেও বাস্তবে শয্যা আজও চালু হয়নি। অধিকাংশ দিনই রোগীরা ফিরে যান চিকিৎসকের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে। ১, ২ ও ৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে এখানকার দুস্থ ও অসহায় গ্রামবাসীরা। এর আগে এই ব্যাপারে অনেক বার আবেদন-নিবেদনের পরও, এমনকী ছোটখাটো আন্দোলন হওয়ার পরেও সে অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। আদৌ তা কোনও দিন হবে কি?
হৈমন্তী ভট্টাচার্য। জলপাইগুড়ি। |