|
|
|
|
নিখোঁজ আরও দুই |
সমুদ্রে দু’ভাইয়ের মৃত্যু মন্দারমণিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
না আছে নুলিয়া, না কোনও নিষেধাজ্ঞা। দিঘার আশপাশের সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও নেই। এই অবস্থায় রবিবারই মন্দারমণির উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হল অরুণ শর্মা (২৬) ও অঙ্কিত শর্মা (২৩) নামে দুই ভাইয়ের।
মণীশ শর্মা নামে তাঁদের এক সঙ্গী এখনও নিখোঁজ। তিন জনেরই বাড়ি হাওড়া জেলার শিবপুর থানার ফজিরবাজার এলাকায়। এ দিকে, শনিবার তাজপুরের উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছেন দীপক রায় নামে হুগলির হিন্দমোটর এলাকার বছর বাইশের এক যুবক। এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছ পর্যটকদের মধ্যে। নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই সমুদ্র উত্তাল। তারপরেও প্রশাসন কেন সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল বলেন, “দিঘায় সমুদ্র উত্তাল হলে পযর্টকদের মাইকিং করে নামতে বারণ করা হয়। ছয় জন নুলিয়াও আছে। কিন্তু তাজপুর ও মন্দারমণিতে সেই ব্যবস্থা নেই। প্রতিটি সৈকত পযর্টনকেন্দ্রে যাতে নুলিয়া থাকে,
তার জন্য শীঘ্রই আরও ১৪ জনকে নিয়োগ করা হবে। ৬টি স্পিডবোট আনা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার হাওড়া জেলার শিবপুর থানার ফজিরবাজার এলাকা থেকে পাঁচ বন্ধুর একটি দল মন্দারমণিতে বেড়াতে আসে। বেলা ১২টা নাগাদ পৌঁছে বাড়িতে ফোনও করেছিলেন অরুণ।
এরপর দুই ভাই অরুণ ও অঙ্কিত এবং সঙ্গী মণীশ সৈকতে নামেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে তলিয়ে যান তিন জন। অরুণ ও অঙ্কিতের মৃতদেহ সমুদ্রপাড়ে ভেসে এলেও বছর আঠাশের মণীশের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অরুণের বাবা রতন শর্মা বলেন, “বড় ছেলে দুপুরবেলা ফোন করে জানিয়েছিল ভাল ভাবে পৌঁছে গিয়েছে। ঘণ্টাচারেক পরে ওর এক বন্ধু ফোন করে বলে দুই ভাই ঢেউয়ে ভেসে গিয়েছে। আমার দুই ছেলেই সম্বল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে
এই ভাবে নিঃস্ব হয়ে যাব ভাবতে পারিনি।” রবিবার বিকেলেই মন্দারমণির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রতনবাবু।
অন্য দিকে শনিবার হুগলি জেলার হিন্দমোটর থেকে ৬ বন্ধুর একটি দল তাজপুরে গিয়েছিল। উত্তাল সমুদ্রে তাঁরা নেমে পড়েন।
ঢেউ সামলাতে না পেরে দীপক রায় নামে এক যুবক তলিয়ে যান কিছুক্ষণের মধ্যেই। খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে বন্ধুরা শনিবার সন্ধ্যায় দীপকের হিন্দমোটরের বাড়িতে ও রামনগর থানায় খবর দেন। রাতেই দীপকের বাবা তাজপুরে আসেন। রবিবার রামনগর থানার পুলিশ দীপকের বাবা ও বন্ধুদের নিয়ে তাজপুর সমুদ্র সৈকতে দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিন ঘুরে দেখেন। দীপকের সন্ধান মেলেনি। |
|
|
|
|
|