টুকরো খবর
পুলিশের ঘরে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, গ্রেফতার ৭
ব্যারাকের মধ্যে আক্রান্ত খোদ পুলিশ! হামলায় আহত হলেন কলকাতা পুলিশের কয়েক জন কর্মী। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে তাণ্ডব চালিয়ে পুলিশকর্মীদের একটি মোবাইল এবং কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালাল হামলাকারীরা। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে, লেক থানার পঞ্চাননতলায়। পুলিশকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এলাকারই পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার প্রতিবাদে ওই রাতেই লেক থানায় বিক্ষোভ দেখান এলাকার কিছু বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে ব্যারাকের দুই রাঁধুনিকেও। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা রবিবার বলেন, “খাস কলকাতা শহরে পুলিশ-ব্যারাকে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে, এটা ভাবাই যায় না।” এই ঘটনার পরে খোদ পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পুলিশকর্তাদের অনেকে। কী ঘটেছিল ওই রাতে? পুলিশ জানায়, পঞ্চাননতলায় পুলিশের রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের একটি ব্যারাক রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাতে ব্যারাকের রান্নাঘরে কাজ করছিলেন রাঁধুনিরা। অভিযোগ, সে সময়ে কয়েক জন যুবক রান্নাঘরের পাশেই প্রস্রাব করতে থাকে। প্রতিবাদ করেন ওই ব্যারাকের রাঁধুনিরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। পুলিশ জানায়, সংখ্যায় কম থাকায় তখনকার মতো ওই যুবকেরা চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা দলবল নিয়ে ফিরে ব্যারাকে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। তাদের হাতে মার খান কয়েক জন পুলিশকর্মী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল বাহিনী। পুলিশকর্মীদের অভিযোগে ভিত্তিতে মুকেশ পাসোয়ান, নীতেশ পাসোয়ান, কৈলাস মণ্ডল, বিশাল মণ্ডল ও অভিজিৎ মণ্ডল নামে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

শংসাপত্র ভুয়ো, জয়েন্টে কাউন্সেলিং থেকে বাদ
বিধি না-মেনে ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দাখিল করায় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাউন্সেলিং থেকে এক ছাত্রের নাম বাতিল করা হয়েছে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাউন্সেলিংয়ে। জয়েন্টে কাউন্সেলিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে সরকারি চিকিৎসকের শংসাপত্র দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে আসা ওই ছাত্র তাঁর চোখের অসুখের জন্য এক বেসরকারি চিকিৎসকের শংসাপত্র দাখিল করেন। শারীরিক পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়ায় ছাত্রটির নাম কাউন্সেলিং থেকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেই তিন দফার কাউন্সেলিংয়ে সব আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। তখন ওই ছাত্রের শংসাপত্রটি কী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “এমন কোনও খবর আমার জানা নেই। তাই মন্তব্য করব না। তবে অনিয়ম থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় যে-কোনও প্রার্থীকেই বাতিল করতে পারে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রথম তিন দফা কাউন্সেলিংয়ের কোনও একটিতে ধরা পড়লে ওই ছাত্রের জায়গায় অন্য আবেদনকারী ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে বিষয়টি ধরা পড়ায় ওই আসন খালিই থেকে যাবে।

কুকুরের মুখ বেঁধে বাড়ি লুঠ
স্ত্রী ও দু’বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে সন্ধ্যায় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন গৃহকর্তা। রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখলেন, পোষা অ্যালসেশিয়ান কুকুরটি মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। দু’টি আলমারি খোলা। সারা ঘর লন্ডভন্ড। গয়না, ক্যামেরা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উধাও। রবিবার এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার মনোমোহন পার্কের একটি বাড়িতে। পুলিশ জানায়, গৃহকর্তা সুমন বারুই জিমের ইনস্ট্রাক্টর, তাঁর স্ত্রী তানিয়া একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। সুমনবাবু পুলিশকে জানান, বাড়িতে কুকুর থাকায় তাঁরা সব সময়েই ছাদের দরজা খোলা রাখতেন। এ দিনও ছাদের দরজা না-আটকেই বেরিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা সেই দরজা দিয়েই ঢুকেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তাদের অনুমান, এই ঘটনায় ওই পরিবারের পরিচিত কেউ জড়িত। কুকুরটিকে মাদক দিয়ে অচৈতন্য করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুকুরে মিলল প্রৌঢ়ের দেহ
ঠাকুরপুকুর থানার জনকল্যাণ এলাকার একটি পুকুরে এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রবীর ঘোষ (৫৪)। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফার্মাসিস্টের কাজ করতেন। রবিবার সকাল থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর পরিবার থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেছিল। বিকেলে এলাকার একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ মেলে। পারিবারিক সূত্রের খবর, প্রবীরবাবু গত কয়েক দিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বধূর ঝুলন্ত দেহ
এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ মিলল। মৃতার নাম রত্না ঘাটি (২৫)। বাড়ি সল্টলেকে। রত্নার বাবা রমেন মজুমদারের অভিযোগে ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। রত্নার স্বামী সুদীপ্ত, শ্বশুর ও শাশুড়ি গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ জানায়, বছর খানেক আগে রত্নার বিয়ে হয়। গত শুক্রবার রত্না বাপের বাড়ি আসেন। সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে যান। ওই রাতেই সুদীপ্ত রমেনবাবুকে ফোন করে জানান, রত্নার ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। রত্নার বাবা জানান, বিয়ের পর থেকেই রত্নার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সুদীপ্তর মোবাইলের দোকান সাজানোর জন্য বারবার টাকা চাইতেন। এ নিয়ে অশান্তিও হত। তাঁর অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।”

দুষ্কৃতী গ্রেফতার
এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল এক দুষ্কৃতী। শনিবার রাতে, বেলগাছিয়া মেট্রোর সামনে। পুলিশ জানায়, ইলোরা সরকার নামে ওই মহিলা বেলগাছিয়া স্টেশনে নেমে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তখনই উল্টো দিক থেকে এসে এক যুবক তাঁর সোনার হার ছিনিয়ে পালায়। ইলোরাদেবীর চিত্‌কার শুনে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে কতর্ব্যরত এক পুলিশকর্মী। তিনিই দৌড়ে ছোটন সিংহ ওরফে ছোট্টু নামে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। পুলিশ জানায়, ছোট্টুর নামে একাধিক অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার সে গ্রেফতার হয়েছিল।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.